আ,হ,জুবেদঃ কী আর জানে এটুকু মেয়ে, জন্ম কুয়েতে, বেড়ে ওঠা কুয়েতে,এক যুগেরও কম বয়সে পা’রাখা মিষ্টি একটি মেয়ে, এখনো বিশ্বটাকে খুব ভালো করে দেখার সুযোগও হয়ে উঠেনি, স্বদেশ কৃষ্টি কালচারের সাথে একেবারেই অপরিচিত এবং প্রাথমিক শিক্ষা শুরুটাও কুয়েতে।
ধর্ম পৃথিবীর সবচেয়ে পুরাতন বিশ্বাসগুলোর মধ্যে একটি অন্যতম বিশ্বাস। যে মানুষ ধর্মে বিশ্বাস করেন, তাকে ধার্মিক বলা হয়। ধর্মের বিষয়গুলো বাস্তবজীবনে ধারণ করে যে মানুষ পরিপাটি একনিষ্ঠ জীবনযাপন করেন তারাই হলেন ধর্মপরায়ণ মানুষ।
তেমনই কুয়েতে জন্মগ্রহণ করা একজন ধর্মপরায়ণ ১২ বছর বয়সী ফারজানা সোনিয়া বাংলাদেশের মসজিদে দায়িত্বরত ঈমাম ও মোয়াজ্জিনদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বেশ কিছু বিষয় তুলে ধরে তাঁদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবী জানান।
ফারজানা সোনিয়া ইন্টারগ্রেটেড ইন্ডিয়ান স্কুল কুয়েতের একজন অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রীর নাম, বাবা মোহাম্মদ শাহজান আহমেদ।
কুয়েতের জিলিব আল-সুয়েখ এলাকায় ছোট এক বোন ও মা-বাবাকে নিয়ে সুন্দর গোছানো একটি পরিবার ফারজানাদের।
সম্প্রতি ফারজানা সুনিয়ার একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হওয়াতে, কুয়েত বাংলাদেশ কমিউনিটিতে ফারজানাকে নিয়ে চলছে অন্তহীন আলোচনা আর ফারজানার প্রশংসায় ফেসবুক ব্যবহারকারীরা এখন ভীষণ ব্যস্ত।
ফেসবুকে আপলোডকৃত সেই ভিডিওতে ফারজানা তাঁর বাবার অর্থে নির্মিত একটি মসজিদের ঈমাম ও মোয়াজ্জিনদের বেতন সহ নানা সুযোগ – সুবিধা নিয়ে কথা বলেন।
এবার সেই ফারজানা সুনিয়া অগ্রদৃষ্টিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন তাঁর সেই উদ্দেশ্যের কথা।
বাংলাদেশের ঈমাম ও মোয়াজ্জিনদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সোচ্চার ফারজানা বলেন, ঈমাম ও মোয়াজ্জিনরা আমাদের জন্ম থেকে শুরু করে মৃত্যু পর্যন্ত প্রয়োজনে আসেন, উনাদের সম্মান দেয়া হোক, বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক সুনির্দিষ্ট একটি বেতন নির্ধারণ করা হোক।
ফারজানা কুয়েতের ইসলামিক ফাউন্ডেশন কমিটির কথা উল্লেখ করে বলেন, কুয়েত সরকার ঈমাম ও মোয়াজ্জিনদের সার্বিক সুযোগ – সুবিধা দিচ্ছে।
বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশনকে পরামর্শ হিসেবে ফারজানা বলেন, ঠিক এমনটা যদি বাংলাদেশে হয়; তাহলে আমাদের ঈমাম ও মোয়াজ্জিনদের প্রতি সুবিচার করা হবে।
ইসলাম শান্তির ধর্ম, অনেক সময়’ই আমাদেরকে বিভ্রান্তিমূলক খুৎবা ও ওয়াজ শুনতে হয়। তখন’ই শান্তির ধর্মে অশান্তি সৃষ্টি হয়।
এক্ষেত্রে ফারজানা বলেন, কুয়েতে ইসলামিক ফাউন্ডেশন কমিটি কর্তৃক নির্দিষ্ট একটি বিষয়ের উপর ঈমামদেরকে শুক্রবারের খুৎবা দিতে বলা হয়।
ফারজানা বলেন, ঠিক তেমনই যদি বাংলাদেশেও এই নিয়ম চালু হয়; তাহলে বিভ্রান্তিমূলক ধর্মীয় প্রচারের সুযোগ থাকবেনা।
কুয়েতে ফারজানার ব্যবসায়ী বাবা শাহজান আহমেদ মেয়ের ইসলামিক চিন্তা চেতনা ভিত্তিক কথাবার্তা শুনে আবেগাপ্লুত হয়ে দেশ- বিদেশের সকলের দোয়া কামনা করেন।