আ,হ জুবেদ: পুলিশের অব্যাহত ধর পাকড় আর সব্জির হাটকে বার বার ভেঙেচুরে গুড়িয়ে দিয়েও ফলাফল মূলত কিচ্ছুই হয়নি।বরং দেখাগেছে এখনো প্রবাসী বাংলাদেশীরা টাটকা সব্জির রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন হরহামেশা।
কুয়েতের বাঙালি অধ্যুষিত হাসাবিয়া এলাকার চিপা গলির হাটের কথা বলছিলাম।
যে হাটে ব্যবসা করে কেউ হয়েছেন কোটিপতি আবার কেউবা হয়েছেন পথের ভিখারী কিংবা কেউবা যেতে হয়েছে কুয়েত ছেড়ে শুধুমাত্র এক কাপড়ে।
কুয়েতের হাসাবিয়া এলাকার উক্ত টাটকা সব্জির হাট শুরু হয়েছে সে অনেক আগ থেকে, কিন্তু একটি বিষয় লক্ষণীয় যে, এখানে বিক্রেতা সবই বাংলাদেশী তবে এক্ষেত্রে ক্রেতারা যদিও সংখ্যাধিক বাংলাদেশী কিন্তু পাশাপাশি অন্যান্য দেশের ক্রেতারাও রয়েছেন।
কুয়েতে যেকোনো জায়গায় হাট- বাজার কিংবা দোকান স্থাপনের ক্ষেত্রে স্থানীয় সরকারের আইন বা নিয়মানুযায়ী হাসাবিয়ার উক্ত সব্জির হাট সম্পূর্ণ অবৈধ।
কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা হাসাবিয়া এলাকার উক্ত সব্জির হাটের উপর দিয়ে অনেক ঝর-ঝাপটা বয়ে গেলেও বিক্রেতা – ক্রেতাদের সংখ্যাতো কমেইনি বরং এখন অনেক গুণ বেড়েছে।
একজন বিক্রেতাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল ভাই এখানে কতদিন ধরে ব্যবসা করছেন এবং লাভ-লোকসান কেমন?
উত্তরে উক্ত ব্যবসায়ী বললেন, ভাই আমি এখানে প্রায় কুয়েত আসার পর থেকেই ব্যবসা করছি, অনুমানিক ৮.৯ বছর যাবত।
আমার মাশাল্লাহ অনেক লাভ হচ্ছে, কিন্তু মাঝে মাঝে (বলদিয়া) পুলিশ এসে সবকিছু নিয়ে যায়, তখন অনেক ক্ষতির শিকার হতে হয়।
কিন্তু ভাই এখানে ব্যবসা করা মানে অনেক ঝুকিপূর্ণ, সবসময় সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়।
কুয়েতের হাসাবিয়া এলাকার উক্ত অবৈধ হাটের কারণ অনুসন্ধান করতে গেলে জানা যায় যে, সেখানে শুধুমাত্র কম বেতনধারী কুয়েতে আসা বাংলাদেশী শ্রমিকরা’ই এই হাটে বিভিন্ন ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত রয়েছেন।
কুয়েতে প্রবাসী বাংলাদেশীদের প্রায় ৬৫ শতাংশ প্রবাসী বাংলাদেশীরা ক্লিনিং কোম্পানিতে কর্মরত। আর ক্লিনিং কোম্পানিতে কর্মরত শ্রমিকদের বেতন খুবই সল্প; বিধায় তাদের খরচের অর্থের বিশাল ঘাটতি পূরণ করতে গিয়েই তাদেরকে আশ্রয় নিতে হচ্ছে এসব অবৈধ কাজের।
উল্লেখ্য যে, কুয়েতে যেসব কম বেতনধারী শ্রমিকরা রয়েছেন তার সিংহভাগ শ্রমিকরা’ই এইসব অবৈধ কাজে লিপ্ত রয়েছেন।
কুয়েতের হাসাবিয়া এলাকার উক্ত সব্জি হাটের ব্যবসা নিয়ে কুয়েতের ডেইলি নিউজ পেপার গুলো অনেক হেড লাইন করেছে; কিন্তু অজ্ঞাত কিছু কারণে এসব বন্ধ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রায় অক্ষম।
তবে স্থানীয় এলাকার অনেক প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, কুয়েতের হাসাবিয়াতে বিক্রেতাদের জন্য টাটকা সব্জির ব্যবসা লাভজনক এবং ক্রেতাদের জন্য সস্তা পণ্য হলেও কেউ হয়েছেন কোটিপতি, কেউ ছেড়েছেন কুয়েত এক কাপড়ে।