জেসমিন পাপড়ি, ঢাকা থেকেঃ বাংলাদেশ থেকে দক্ষ পেশাজীবী কর্মী নেওয়ার বিষয়ে অনাপত্তি দিয়েও ভিসা আবেদন জমা নিচ্ছে না ঢাকার কুয়েত দূতাবাস। ফলে লাখ লাখ টাকা খরচ করেও ফ্লাইট বাতিলসহ কুয়েতের চাকরিতে যোগ দেওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে হাজার হাজার বাংলাদেশির।
মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) সারাদিন রাজধানীর বারিধারার কুয়েত দূতাবাসের সামনে অপেক্ষা করেও ভিসা পাওয়ার জন্য আবেদন জমা দিতে পারেননি শত শত বাংলাদেশি। আপাতত ভিসা দেওয়ার জন্য পাসপোর্ট জমা নেওয়া হচ্ছে না বলে দূতাবাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়। তবে এ বিষয়ে কোনো ব্যাখ্যা তাদেরকে জানানো হয়নি।
ভূক্তভোগীরা অগ্রদৃষ্টিকে জানান, পেশাগত কর্মীদের বিষয়ে কুয়েত থেকে অনাপত্তি দিয়েই ভিসা পাঠানো হয়েছে। এসব ভিসার মেয়াদ সাধারণত: তিন মাসের মতো হয়ে থাকে। এ সময়ের মধ্যেই মেডিকেলসহ যাবতীয় কাজ শেষ করে ভিসা পাওয়ার জন্য আবেদন জানাতে হয়। এসব নিয়ামবলী পালন করতে বেশ সময় চলে যায়। ফলে একেবারে শেষ দিকে এসেই ভিসা পাওয়ার জন্য কুয়েত দূতাবাসে পাসপোর্ট জমা দিতে হয়।
কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে একেবারেই পাসপোর্ট জমা নিচ্ছে না দূতাবাস। যার ফলে যাদের ভিসার মেয়াদ তিন মাসের একেবারে শেষ দিকে চলে এসেছে তারা আর কুয়েত যেতে পারবেন না। আর যাদের মেয়াদ থাকবে তাদেরকেও নির্দিষ্ট ফ্লাইটের টিকিট পরিবর্তন করতে হচ্ছে। যার জন্য গুনতে হবে অতিরিক্ত টাকা।
জানা গেছে, এমপ্লয়মেন্ট ভিসার ক্ষেত্রে তিন মাস মেয়াদী ভিসা ইস্যু করলেও এয়ারপোর্টে পৌঁছানোর পরে আরো দুই মাস মেয়াদ বাড়িয়ে দেয় কুয়েত। সেই সময়ের মধ্যে কর্মীদের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান থেকে আকামা জোগাড় করতে হয়।
ঢাকার কুয়েত দূতাবাসের ভিসা আবেদন জমা না নেওয়ার কারণ সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।
এদিকে কুয়েত যাওয়ার আশায় বিভিন্ন রিক্রুটিং এজেন্সিকে অগ্রিম টাকা দিয়েছেন ভিসাপ্রার্থীরা। এ অবস্থায় ভিসা না পেয়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২৪ এবং ২৫ জুলাই জমা দেওয়া পাসপোর্টও ফেরত পাচ্ছেন না সংশ্লিষ্টরা। আবার নতুন কোনো বই জমা নিচ্ছে না দূতাবাস।