বিশেষ প্রতিনিধিঃ কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ‘আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস-২০২৫’ ও ‘জাতীয় প্রবাসী দিবস-২০২৫’ পালিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের এবারের প্রতিপাদ্য ছিল— ‘দক্ষতা নিয়ে যাবো বিদেশ, রেমিট্যান্স দিয়ে গড়বো স্বদেশ’।
কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল সৈয়দ তারেক হোসেন, ওএসপি, এডব্লিওসি, পিএসসি-এর সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে দূতাবাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বাংলাদেশি কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, বিভিন্ন কোম্পানির প্রতিনিধি এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া এই আয়োজনে দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শোনান দূতাবাসের কর্মকর্তারা। অনুষ্ঠানে দিবসটির ওপর নির্মিত একটি বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এছাড়া দূতাবাসের কাউন্সেলর (শ্রম) এস. এম. সাইফুর রহমান তার উপস্থাপনায় প্রবাসীদের কল্যাণে কুয়েতস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের বিবিধ কার্যক্রম ও ভূমিকা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ ছিল দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ ‘রেমিট্যান্স পুরষ্কার-২০২৫’ প্রদান। এতে ব্যক্তি পর্যায়ে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স প্রেরণকারী হিসেবে প্রথম পুরস্কার লাভ করেন আমিনুল ইসলাম এবং দ্বিতীয় হন আবুল কাশেম। এছাড়া প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে প্রথম পুরস্কার অর্জন করে ‘কনফিডেন্স জেনারেল ট্রেডিং ফুডস্টাফ কোম্পানী’ এবং দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে ‘জনতা জেনারেল ট্রেডিং কোম্পানী’। পুরস্কার বিতরণের পর প্রবাসী শিল্পীদের অংশগ্রহণে একটি মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
সমাপনী বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল সৈয়দ তারেক হোসেন কুয়েতস্থ সকল প্রবাসী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, প্রবাসীদের কঠোর পরিশ্রম ও ত্যাগের বিনিময়েই বাংলাদেশের উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন এবং টেকসই অগ্রগতি সাধিত হচ্ছে। সরকার প্রবাসীদের কল্যাণকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে উল্লেখ করে তিনি আশ্বস্ত করেন যে, কুয়েতে বসবাসরত প্রবাসীদের কল্যাণে দূতাবাস সর্বদা তাদের পাশে রয়েছে। এ সময় তিনি প্রবাসীদের দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে কাজ করার পাশাপাশি কুয়েতের স্থানীয় আইন-কানুন মেনে চলা এবং বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানোর উদাত্ত আহ্বান জানান।











