আ হ জুবেদঃ মুসলমানদের প্রধান দুটি ধর্মীয় উৎসবের অন্যতম।এটি ঈদ আল-কুরবান বা ঈদ আল-আযহা নামেও অভিহিত হয়। বাংলাদেশে এটি কুরবানীর ঈদ, বাকরা ঈদ নামে পরিচিত।
প্রতি বছর দুটি ঈদ আসে আনন্দের বার্তা নিয়ে; সারা বিশ্বের মুসলমান ঈদ পালন করেন খুশির উৎসব হিসেবে।
কিন্তু এ বছর যখন এই উৎসব এসেছে, তখন সারা পৃথিবী বৈশ্বিক মহামারী মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছে। ফলে ঈদের আনন্দ বা কোনো আনুষ্ঠানিকতা নেই কোথাও।
শুক্রবার (৩১ শে জুলাই) উপসাগরীয় দেশ কুয়েতে প্রবাসী বাংলাদেশীরা আনন্দ ও উৎসব ছাড়াই যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে ঈদুল আযহা উদযাপন করেছেন।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে কুয়েতে লকডাউন উঠিয়ে নেওয়া হলেও দেশটিতে ৬ ঘণ্টার কারফিউ বহাল রয়েছে। অন্যদিকে, দীর্ঘদিন মসজিদ গুলো বন্ধ থাকার পর গত সপ্তাহে কিছু সংখ্যক মসজিদ খুলে দেওয়া হয়েছে। ফলে শুধুমাত্র সেসব মসজিদে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে কুয়েতের বাংলাদেশী অধ্যুষিত হাসাবিয়া, মাহবুলা, ফরওয়ানিয়া, খাইতান, সাল্মিয়া, হাওয়াল্লি,জাহরাসহ অন্যান্য সকল এলাকার প্রবাসীরা এবার নিজ নিজ বাসস্থানেও ঈদের নামাজ আদায় করেছেন।
বিশ্বজুড়ে মহামারী, প্রবাসে নিজেদের নিয়ে যতটা না চিন্তিত প্রবাসীরা, তার চেয়ে বেশি চিন্তিত দেশে থাকা আত্মীয়-স্বজনদের জন্য।
প্রবাসীরা বলেন, গেলো ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা নিরানন্দে কেটেছে, এ স্মৃতি গুলো যুগযুগ ধরে মনে থাকবে।
তারা বলেন, উপার্জন নেই,ফলে এবার ঈদে দেশে টাকা পাঠানো সম্ভব হয়নি, এতে অবর্ণনীয় কষ্ট হচ্ছে।
দেশ-বিদেশে থাকা আত্মীয় স্বজনদের ঈদের শুভেচ্ছা জানানোর বিষয়টিও যোগ করেন তারা।
ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি, কিন্তু এবার তার কোনোটাই হয়নি। নিরানন্দে কেটেছে ঈদুল আযহা, তবুও কুয়েত প্রবাসীরা প্রত্যাশা করছেন আগামীর সুন্দর ও শান্তিময় তথা করোনামুক্ত একটি বিশ্বের।