বিনোদন ডেস্কঃ কিংবদন্তী সংগীতশিল্পী লাকী আখন্দের জীবন সংকটাপন্ন। বর্তমানে তিনি বিএসএমএমইউ’তে (পিজি হসপিটাল) চিকিৎসাধীন রয়েছেন। লাকী আখন্দের ঘনিষ্ঠজন এরশাদুল হক টিংকু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এরশাদুল হক টিংকু বলেন, ‘আজ সকাল ৭টা থেকে লাকী ভাই-এর অবস্থা সংকটাপন্ন অবস্থায় চলে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছেন, এখন যে কোনও মুহূর্তে যে কোনও কিছু ঘটে যেতে পারে।’
এদিকে লাকী আখন্দের শারিরীক অবস্থার অবনতির খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যান তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক।
গুণী এই সংগীতজ্ঞ অনেক দিন ধরেই মরণব্যাধী ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করছেন। ছয় মাসের চিকিৎসা শেষে থাইল্যান্ডের ব্যাংকক থেকে ২০১৬ সালের ২৫ মার্চ দেশে ফেরেন তিনি। সেখানে কেমোথেরাপি নেওয়ার পর শারীরিক অবস্থার অনেকটা উন্নতি হয়েছিল তার। একই বছরের জুনে আবারও থেরাপির জন্য ব্যাংকক যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আর্থিক সংকটের কারণে পরে আর তার সেখানে যাওয়া হয়ে উঠেনি।
অসুস্থতার প্রথম থেকেই লাকী আখন্দ ও তার পরিবার কোনও রকম আর্থিক সহযোগিতা গ্রহণের বিষয়ে বেশ কঠোর ছিলেন। দেশের শীর্ষ শিল্পীদের উদ্যোগে সহযোগিতা করতে চাইলেও বিনয়ের সঙ্গে লাকী আখন্দ সেটি গ্রহণে অনাগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। গুণী কিংবা অভিমানী এই মানুষটি অন্যের সাহায্য-সহযোগিতায় নিজের চিকিৎসা চালাতে মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলেন না। তবে ব্যাংককে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় এই সংগীতকারের চিকিৎসার জন্য পাঁচ লাখ টাকা সহায়তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাষ্ট্রীয় ভালোবাসা হিসেবে সেটি তিনি গ্রহণ করেছেন স্বাচ্ছন্দে।
লাকী আখন্দের উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে রয়েছে— ‘এই নীল মনিহার’, ‘আমায় ডেকো না’, ‘কবিতা পড়ার প্রহর এসেছে’, ‘যেখানে সীমান্ত তোমার’, ‘মামনিয়া, ‘বিতৃঞ্চা জীবনে আমার’, ‘কি করে বললে তুমি’ ‘লিখতে পারি না কোনও গান, ‘ভালোবেসে চলে যেও না’ প্রভৃতি।
অগ্রদৃষ্টি.কম // এমএসআই