সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত সহ প্রতিবেশী দেশগুলো কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার পর দেশটি এখন নানামুখী কূটনৈতিক, অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক চাপের মুখে পড়েছে।
কাতারে কাজ করছে প্রায় তিন লাখের মতো বাংলাদেশী। তাদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে কাতার বাংলাদেশি বিশেষ করে শ্রমিকদের ফেরত পাঠাবে কিনা।
কাতারের রাজধানী দোহায় থাকেন বাংলাদেশি কর্মী কাজী মোহাম্মদ শামীম।তিনি বলছিলেন বাংলাদেশি শ্রমিক যারা কাজ করেন তাদের মধ্যে পুরোপুরি ভীতি তৈরি হয়ে গেছে আজকে থেকে।
এর পাশাপাশি বেশ কিছু গুজব ছড়িয়ে পরেছে।
গুজব টা কী ?
তিনি বলছিলেন বাংলাদেশিরা কাতারে থাকতে পারবেন না চলে যেতে হবে এমন একটা ভীতি কাজ করছে ।
সৌদি এবং দুবাই সরকার লোকজন নিয়ে যাওয়ার জন্য বলেছে। তাই বাংলাদেশিদের মধ্যে কানাঘুষা চলছে।
হয়তবা বাংলাদেশিদের পাঠিয়ে দেবে কাতার। শ্রমিকরা ভয় পাচ্ছে এত টাকা খরচ করে এসেছে এখন ফেরত পাঠালে পরিবার নিয়ে দেশে বিপদে পরবে সবাই।
দুইজন নির্মাণ শ্রমিক জানিয়েছেন তাদের বলে দেয়া হয়েছে আজ বুধবার থেকে যেন তারা কাজে না যায়।
কাজী মোহাম্মদ শামীম যে প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন সেখানকার উদাহরণ দিয়ে বলেছেন তাঁদের পণ্য আসে দুবাই থেকে।
সেটা এখন বন্ধ আছে। তাই তাঁর কফিল( নিয়োগদাতা) বলে দিয়েছেন “যদি এমন চলতে থাকে এবং স্টক শেষ হয়ে যায় তাহলে স্টোর বন্ধ করে দিতে হবে এবং তোমাকে চলে যেতে হবে। পরে যদি ভালো ফলাফল আসে তখন দেখা যাবে”।
কাতারে বাংলাদেশ দূতাবাস কী বলছে?
কাতারের দোহাতে বাংলাদেশ দূতাবাস তাদের ওয়েবসাইটে এই বিষয়ে একটি নোটিশ দিয়েছে।
সেখানে দূতাবাস জানাচ্ছে, কাতার এবং উপসাগরীয় অন্যান্য কয়েকটি দেশের মধ্যকার উদ্ভূত রাজনৈতিক পরিস্থিতি বাংলাদেশ দূতাবাস সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করছে এবং কর্তৃপক্ষের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে।
দূতাবাস বলছে , পরিস্থিতি কাতার সরকারের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং এ ব্যাপারে অহেতুক আতংকিত হওয়ার কোন যৌক্তিক কারণ নেই বলে দূতাবাস মনে করে।
খাদ্যের দাম বেড়েছে
এই সংকট শুরু হওয়ার পর সেখানে অনেক মানুষ উদ্বিগ্ন হয়ে বাজার থেকে খাদ্যসামগ্রী কিনতে শুরু করায় জিনিসপত্রের দাম বাড়তে শুরু করেছে।
সৌদি আরব এবং দুবাই থেকে পণ্য নিয়ে মূলত কাতার ব্যবসা বাণিজ্য করে।
সৌদি বর্ডার দিয়ে খাদ্যে আসতো কাতারে, সেটা বন্ধ হওয়ার পর অনেকেই সুপার স্টোর গুলোতে খাদ্য মজুদ করা শুরু করেছে।
খাদ্য সংকট এখনো শুরু না হলেও একটা বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতি চলছে।
মি. শামীম বলছেন গতকাল সকালে আলু কেজি প্রতি তিনি সাড়ে তিন রিয়াল দিয়ে কিনেছেন কিন্তু বিকেলে সে দাম বেড়ে হয়েছে পাঁচ রিয়াল।