মিজানুর রহমান সুহেল, নবীগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার ৫নং আউশকান্দি ইউনিয়নের সদরাবাদ গ্রামের লন্ডন প্রবাসী সামছুল আলম ফারুক সখের নেশায় জন্ম ভূমি বাংলাদেশে প্রতি বছর এসে বাড়ির পুকুরে মাছ চাষ করে আসছেন।
কিন্তু লন্ডন চলে যাওয়ার পর পর কে বা কারা ওই পুকুরের বিষ প্রয়োগ করে মাছগুলো মেরে ফেলে প্রায় লক্ষাধীক টাকার ক্ষয়ক্ষতি করেছে। এতে এলাকায় লোকজনের মধ্যে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এ ঘটনার খবর পেয়ে আউশকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মহিবুর রহমান হারুন, প্যানেল চেয়ারম্যান সাইদুল রহমান, ৩নং ওয়ার্ড মেম্বার সাহেল আহমদ সহ এলাকায় লোকজন পরিদর্শন করেছেন।
এ ব্যাপারে ওই গ্রামের আব্দুল হক এর সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, গত বছরও শত্রুতা মেটাতে লন্ডন প্রবাসীর বাড়ির পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে প্রায় লক্ষ্য টাকার ক্ষয়ক্ষতি করেছে। আমরা এর বিচার এখনও পাইনি।
লন্ডন প্রবাসী সামছুল আলম ফারুক এর বাড়ির কেয়ারটেকার এর সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, গত সোমবার রাত ১১টার সময় দোকান থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে বখশিপুর গ্রামের মৃত আফছর উল্লার পুত্র আমির উদ্দিন, মৃত ছাতির উল্লার পুত্র ইলাই মিয়া সহ আরো কয়েকজন ওই পুুকুর পারে ঘুরা ফেরা করতে দেখতে পাই। পরদিন মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে দোকানে যাওয়ার পথি মধ্যে দেখতে পাই পুকুরের সকল মাছ মরে পানির উপর ভেসে আছে। পরে স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার ইকবাল আহমদকে বিষয়টি জানাতে উনার বাড়িতে গেলে ওনাকে পাওয়া যায়নি।
অভিযোক্ত পুকুরের পাশ্বের বাড়ির মালিক মোঃ ইলাই মিয়ার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমি ও গফুর গত রাতে মাছ ধরার জন্য পাশের বিলে যাই। লন্ডন প্রবাসীর পুুকুরে বিষ প্রয়োগে মাছ মরার বিষয় জিঙ্গেস করা হলে তিনি বলেন, আমি কিছু জানি না।
ওই গ্রামের সৌদি প্রবাসী মনা মিয়া বলেন, প্রতি বছরই কে বা কারা পুকুরের মাছে বিষ দিয়ে মেরে ফেলে। বিনা অপরাধে ওই পুকুরের যে বা যাহারা মাছ মেরে ফেলেছে আমি তাদের বিচার চাই। সঠিক অপরাধীদের চিহিৃত করে আইনের আওতায় এনে বিচারের কাটগড়ায় দাড় করাতে হবে।
এ ব্যাপারে আউশকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মহিবুর রহমান হারুন বলেন, আমি ঘটনার খবর পেয়ে ওই স্থানে গিয়ে যে অবস্থা দেখতে পাই তাহা খুব দুঃখজনক। যদি তদন্তের মাধ্যমে যে বা যাহাদের পাওয়া যাবে তাদের অব্যশ্বাই আইনের আওতায় আনা হবে। আইনের উর্ধ্বে কেউ নেই।