বাংলাদেশ ও পাকিস্তান উভয় দলই আফগানিস্তানের সাথে সুপার ফোর পর্বে জয় পেয়েছে এবং ভারতের কাছে হেরেছে।
ফাইনালে ওঠার জন্য এটি এখন বাঁচা মরার লড়াই উভয় দলের জন্য।
তাই পাকিস্তান ও বাংলাদেশের ম্যাচটি ২০১৮ এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে রুপ নিয়েছে।
বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের এই ম্যাচ নিয়ে বিবিসি বাংলা কথা বলে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক একজন ক্রিকেটার হান্নান সরকারের সাথে।
হান্নান সরকারের মতে খুব বেশি পরীক্ষা নিরীক্ষার জায়গা নেই বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন আপের।
আফগানিস্তানের সাথে ম্যাচটিতে ইমরুল কায়েস মাঝে নামার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, “টিম ম্যানেজমেন্ট খুব বিচক্ষণ ছিল। রশিদ খান ও ইমরুল কায়েস কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সে খেলেছেন একসাথে। রশিদের বল ইমরুল খেলবেন এই পরিকল্পনা মাথায় রেখে ইমরুলকে নিচে খেলানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”
সৌম্য সরকার কী ধরণের ফর্মে আছেন সেটা একটা বিবেচনার বিষয় হতে পারে বলে মনে করেন হান্নান সরকার। সেক্ষেত্রে নাজমুল হোসেন শান্ত’র পরিবর্তে তাকে নামানো যেতে পারে।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মুশফিকুর রহিমেদ ১৪৪, আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ৭৪ ও ইমরুল কায়েস ৭২ রান তোলেন।
হান্নান সরকার বলেন, “মূলত অভিজ্ঞরাই পারফর্ম করছেন। যারা একটু সিনিয়র তারাই খুব ভালো খেলছে। যেমন লিটন দাস আফগানিস্তানের সাথে কিছু রান করেছেন এবং শান্ত তেমন খেলতে পারছেন না। এসব বিবেচনা করেই একাদশ করা হবে।”
পাকিস্তানের স্বভাবজাত শক্তির জায়গা বোলিং। যদিও হংকংয়ের সাথে একটি ম্যাচ ছাড়া পাকিস্তান তেমন ভালো বোলিং করতে পারেনি এই টুর্নামেন্টে।
মূলত মোহাম্মদ আমিরের ফর্ম না থাকা ভোগাচ্ছে এই দলটিকে।
২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন মোহাম্মদ আমির।
হান্নান সরকারের মতে, “বাংলাদেশের তুলনায় পাকিস্তানের বোলিং বেশ শক্তিশালী। তাদের বোলিংয়ে বৈচিত্র্য রয়েছে।”
হান্নান সরকার মনে করছেন পাকিস্তানের এশিয়া কাপ তেমন ভালো যাচ্ছে না।
তিনি বলেন, “হংকংয়ের সাথে জয় ছাড়া পাকিস্তান এই এশিয়া কাপে খানিকটা নেতিবাচক অবস্থানে রয়েছে। ভারতের সাথে দুটো ম্যাচেই একদম বড় ব্যবধানে হেরেছে।”
ভারতের কাছে পাকিস্তান একটি ম্যাচে আট উইকেটে ও একটি ম্যাচে নয় উইকেটে হেরেছে।
দুই ম্যাচ মিলিয়ে মাত্র তিন উইকেট নিয়েছে পাকিস্তানের বোলাররা।
হান্নান সরকারের মতে এমন ব্যবধানে হার যেকোনো দলের মানসিক শক্তিতে আঘাত হানে।
পাকিস্তানের সাথে শেষ তিন বছরে বাংলাদেশ কোনো ওয়ানডে ম্যাচ খেলেনি।
শেষবার ২০১৫ সালে দুই দল একটি তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে মুখোমুখি হয়।
যেখানে ৩-০ ব্যবধানে জয় পায় বাংলাদেশ।
সেই সিরিজে দুটি শতক হাঁকান তামিম ইকবাল, যিনি ইনজুরির কারণে এখন মাঠের বাইরে আছেন।
এর আগে ২০১৪ এশিয়া কাপ ও ২০১২ এশিয়া কাপে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ মুখোমুখি হয়, যেই দুটি ম্যাচ খুব সামান্য ব্যবধানে হেরে যায় বাংলাদেশ।
আরব আমিরাত কী পাকিস্তান হোম কন্ডিশনের সুবিধা পাবে?
হান্নান সরকার মনে করছেন, “এখানে ঘরের মাঠের সুবিধা তেমন নিতে পারবে না। বাংলাদেশও চারটি ম্যাচ খেলে ফেলেছে। এখানে পরিস্থিতি মানিয়ে নেয়ার ব্যাপারটা চলে এসেছে।”
তবে গরমের বিষয়টা দুই দলের জন্যই কঠিন হবে। হোম গ্রাউন্ডের ব্যাপারটায় খুব বেশি সুবিধা পাকিস্তান নিতে পারবে বলে মনে করছেন না মি. সরকার।
সূত্র, বিবিসি