শনিবার ঈদের সকালে বঙ্গভবন থেকে এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেছেন, “অসহায় মানুষ যাতে ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত না হয়, সে দিকে সকলকে খেয়াল রাখতে হবে।”
বঙ্গভবনের দরবার হলে ঈদের নামাজ শেষে রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ টেলিভিশিনের (বিটিভি) মাধ্যমে এই বার্তা দেন।
এমনিতে প্রতি ঈদে জাতীয় ঈদগাহে প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি ঈদের নামাজ পড়লেও ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে রোজার ঈদের মত এবারও খোলা জায়গায় জামাতের আয়োজন ছিল না।
সকাল সাড়ে ৮টায় বঙ্গভবনের দরবার হলে পরিবারের সদস্য এবং ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ’ পদস্থ কর্মকর্তাদের নিয়ে ঈদের নামাজ পড়েন রাষ্ট্রপতি হামিদ।
এমনিতে প্রতি ঈদে বঙ্গভবনের ক্রেডেনশিয়াল হলে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন রাষ্ট্রপ্রধান। এবার ঈদে বঙ্গভবনে সব ধরনের আনুষ্ঠানিকতা বাদ দেওয়া হয়েছে।
ভিডিও বার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, “বর্তমানে দেশের বিভিন্ন জেলায় বানবাসী অনেক মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় দিনাতিপাত করছে। সরকার বানবাসী এসব মানুষের জন্য খাদ্য ও নগদ আর্থিক সহায়তাসহ সর্বাত্মক সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে।”
ঈদের আনন্দকে নিজের ও পরিবারের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে বিত্তবান ও সামর্থ্যবান সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান আবদুল হামিদ।
তিনি বলেন, “বন্যার্ত মানুষরাও যাতে ঈদের আনন্দে শরিক হতে পারে সে ব্যাপারে দলমত নির্বিশেষে সকলকে কাজ করতে হবে।”
করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে কাজ হারানো মানুষের কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, “এ বছর এমন একটা সময়ে ঈদুল আযহা অনুষ্ঠিত হচ্ছে যখন মহামারী করোনার ছোবলে বিশ্ববাসী বিপর্যস্ত। বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে কর্মহীন হয়ে অনেক মানুষই মানবেতর জীবনযাপন করছে।
সূত্র, বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম