ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা তল্লাশি পার হওয়ার সময় অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চনের সাথে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র স্ক্যানারে ধরা না পড়ার ঘটনাটি গণমাধ্যমে আসার পর বিমানবন্দরের নিরাপত্তার বিষয়টি আবার আলোচনায় এসেছে।
তবে গতকালের এই ঘটনায় একজন স্ক্যানার অপারেটরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে এবং তদন্ত কমিটি গঠন করা হচ্ছে – বিবিসি বাংলাকে এমনটাই জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ।
এদিকে মি. কাঞ্চন জানিয়েছেন যে তিনি ভুলক্রমে অস্ত্র ব্যাগে নিয়েই চলে গিয়েছিলেন বিমানবন্দরে।
“ল্যাপটপ ব্যাগের ভেতরে অস্ত্রটা ছিল, যেটা আমি ভুলেই গিয়েছিলাম,” বলেন মি. কাঞ্চন।
চট্টগ্রামে যাওয়ার সময় ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রাথমিক নিরাপত্তা পরীক্ষার সময় তার সাথের অস্ত্রটি ধরা পড়েনি বিমানবন্দরের স্ক্যানারে।
কিছুদিন আগে এক ব্যক্তি ‘খেলনা’ বন্দুক নিয়ে ফ্লাইটে উঠে বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টা করলে শাহজালাল বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন ওঠে।
মি. ইলিয়াস কাঞ্চন অস্ত্র নিয়ে প্রাথমিক পর্যায়ের নিরাপত্তা তল্লাশি পার হওয়ার পর আবারও আলোচনায় এসেছে বিষয়টি।
ইলিয়াস কাঞ্চন যা বলছেন
বিবিসি বাংলাকে মি. কাঞ্চন বলছেন: “প্রাথমিক পর্যায়ে ল্যাপটপ ব্যাগ স্ক্যানারে দেয়ার পর আমার দেহও তল্লাশি করা হয়। দেহ তল্লাশি করা শেষ হতে হতে ব্যাগও স্ক্যান শেষ হয়ে আমার কাছে চলে আসে।”
প্রথম ধাপের তল্লাশি শেষে বোর্ডিং করে ব্যাগসহ দ্বিতীয় ধাপের তল্লাশির জন্য পৌঁছে যান বলে জানান মি. কাঞ্চন।
“বোর্ডিং শেষে দ্বিতীয় স্ক্যানারে যখন দিতে যাব ব্যাগ, তখন আমার মনে পড়লো যে সাথে তো অস্ত্র আছে!”
মি. কাঞ্চন বলেন, দ্বিতীয় ধাপের স্ক্যানারে ব্যাগ দেয়ার আগেই সেখানে উপস্থিত কর্মকর্তাদের অস্ত্র সম্পর্কে অবহিত করেন তিনি।
“তখন সেখানে উপস্থিত কর্মকর্তাদের জানালাম যে আমার ব্যাগে অস্ত্র আছে। সেটা আনুষ্ঠানিকভাবে জমা দিয়ে আসতে চাইলে তারা আপত্তি করেনি।”
“এরপর এয়ারলাইনসের কাউন্টারে গিয়ে অস্ত্রের কথা বলার পর তারা কাগজপত্রের সাথে মিলিয়ে দেখে। এরপর অস্ত্রটি জমা দেয়ার পর আমি আবার বোর্ডিংয়ের দিকে চলে যাই।”
ফেব্রুয়ারি মাসের শেষদিকে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের আন্তর্জাতিক রুটের একটি বিমান ছিনতাই চেষ্টার পর ওই ছিনতাইকারী এবং তার সাথে থাকা ‘অস্ত্র’ নিয়ে বেশ কিছু বিষয় নিয়ে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ, র্যাব ও সেনা দপ্তরসহ নানা পক্ষ থেকে আসা বক্তব্যের মধ্যে ছিল সমন্বয়হীনতা।
ঐ ঘটনার পর এক সংবাদ সম্মেলনে বেসামরিক বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী দাবি করেছেন যে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কোনো গলদ ছিলোনা এবং এখনো নেই।
সূত্র, বিবিসি