এন.আই.মিলন, বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) থেকে ঃ দিনাজপুরের বীরগঞ্জের ১ প্রতারক মুসলিম সেজে বিয়ের করে পালিয়ে যায়, বিচারের দাবিতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছে স্মৃতি, ইউপি চেয়ারম্যান বিচারের নাম করে মোটা অঙ্কের টাকা বিনিময়ে বাদীনির নিকট হতে স্বাক্ষর নিয়ে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
উপজেলার পাল্টাপুর ইউনিয়নের সন্কা এলাকার মাধবঘাট গ্রামের ভূপেন্দ্র নাথ রায়ের পুত্র মানিক রায় নিজের পরিচয় গোপন করে মুসলমান সেজে নবাব হোসেন পুত্র মানিক হোসেন পরিচয় দিয়ে ৫ লক্ষ টাকা দেন মোহর করে বিয়ে করে স্মৃতি খাতুনকে। পাবনা জেলার কাশিনাথপুর এলাকার ইউসুফ সরদারের কণ্যা স্মৃতি খাতুন ঢাকার গাজীপুরে একটি গার্মেন্সে চাকুরীর সুবাদে মানিকের সঙ্গে পরিচয় ঘটে ২০১২ সালে। পরিচয়ের এক পর্যায়ে মানিক নিজেকে মুসলিম বলে দাবি করে স্মৃতিকে বিয়ে করে। দির্ঘদিন পর স্মৃতি খাতুন ভোটার আইডি কার্ডের সূত্র ধরে জানতে পারে মানিক হিন্দু। ঘটনাটি জেনে মানিককে সত্যকথা বলার জন্য চাপ দেয়। পরে স্মৃতির সরলতার সুযোগে তাকে না জানিয়ে দিনাজপুর লোটারী পাবলিকে ৮ জুন ২০১৫ স্মৃতি খাতুনকে স্মৃতি রানী বানিয়ে হিন্দু ধর্মীয় রিতিতে ১১৬৭০ নম্বরে এফিডেভিট এর মাধ্যমে বিয়ে করার কাগজ করে। জুলাই মাসের ১ম সপ্তাহে স্মৃতি গার্মেন্সে চাকুরী করতে গেলে মানিক সংসারের যাবতীয় মালামাল ও প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র নিয়ে পালিয়ে আসে।
স্মৃতি খাতুন খুজতে খুজতে মানিকের বাড়িতে উপস্থিত হলে মানিকের বাবা, মা ও বোন তাকে অপমান করে তাড়িয়ে দেয়। এ ঘটনার পর স্মৃতি বীরগঞ্জ থানায় এসে লিখিত অভিযোগ দিলে অফিসার ইনচার্জ জাঙ্গীর হোসেনের নির্দেশে এ এস আই আলতাব হোসেন ঘটনাটি তদন্ত করে।
পুনরায় গত ৩০ আগষ্ট স্মৃতি ভাদুর বাড়িতে গেলে সংবাদ পেয়ে সাংবাদিকরা উপস্থিত হয়ে দেখে স্মৃতি বাড়ির বারান্দায় বসে আছে এবং বাড়ির লোকজন দরজায় তালায় পালিয়ে যায়। সংবাদিকদের কথা জানতে পেরে মানিকের বাবা ভাদু রায়, মা দিনোমনি রায় ও বোন ভোগবতীসহ এলাকাবাসি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে স্মৃতির সামনে ঘটনাটির সত্যতা স্বিকার করে বলেন থানার অফিসার ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকায় আপোষের কথা বলে ২০ হাজার টাকা জমা নেয় এবং স্মৃতি তার কিছুই জানেনা।
সংবাদ পেয়ে রাত্রে পাল্টাপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সুরেন্দ্র নাথ কোকিল চোকিদার পাঠিয়ে ঐ বাড়ি হতে স্মৃতিকে সরিয়ে নিয়ে আসে। পরের দিন ৩০ আগষ্ট সকালে স্মৃতিকে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে গিয়ে একাই স্মৃতির নিকট একটি স্বাক্ষর নিয়ে তাকে তাড়িয়ে দেয়। বর্তমানে স্মৃতি খালু ফুলবাড়ী থানার পুলিশ কর্মকর্তা সিদ্দিক হোসেনের দিনাজপুর পুলিশ লাইনঅস্থ বাড়ীতে অবস্থান করছে বলে স্মৃতি জানায়।