আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কায়রোতে আরব লীগের সদর দপ্তরে রোববার এক জরুরি বৈঠকে লেবাননের হিজবুল্লাহ সংগঠনকে সন্ত্রাসী সংগঠন বলে উল্লেখ করা হয়। ইয়েমেনে বিদ্রোহীদের অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করছে হিজুল্লাহ সংগঠন; আরব দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এমন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে হিজবুল্লাহ সংগঠনের নেতা হাসান নাসরাল্লাহ।
লেবাননের পার্লামেন্টকে প্রতিনিধিত্ব করা একটি বড় অংশই হিজবুল্লাহ সংগঠনের। সোমবার বেইরুত থেকে টেলিভিশনে দেয়া এক ভাষণে নাসরাল্লাহ বলেন, তাদের একটি শক্তিশালী সামরিক বাহিনী রয়েছে। আরব লীগের বৈঠকে তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগকে হাস্যকর বলে উল্লেখ করেন তিনি।
নাসরাল্লাহ বলেন, আরব দেশগুলোতে অত্যাধুনিক অস্ত্র এবং ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে সন্ত্রাসী এবং জঙ্গি সংগঠনকে হিজবুল্লাহ সংগঠন সহায়তা করছে এ ধরনের অভিযোগের কোনো প্রমাণ নেই।
চলতি মাসের ৪ তারিখে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদের কিং খালেদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইয়েমেন থেকে একটি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়। ইয়েমেনের ইরানভিত্তিক শিয়া হুতি বিদ্রোহীদের ওই ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পেছনে হিজবুল্লাহ মদদ দিয়েছে বলে অভিযোগ এনেছে সৌদি আরব।
নাসরাল্লাহ বলেন, আমরা কোনো ক্ষেপণাস্ত্র, অত্যাধুনিক অস্ত্র বা কোনো বন্দুক দিয়ে ইয়েমেন, বাহরাইন, কুয়েত বা ইরাক অথবা অন্য কোনো আরব দেশকে কোনো হামলা চালাতে বলিনি। এমনকি হিজবুল্লাহ সংগঠনের কোনো ব্যালিস্টিক মিসাইলও নেই যে তারা এ ধরনের হামলা চালাতে পারে। হিজবুল্লাহ শুধুমাত্র ফিলিস্তিন এবং সিরিয়াতেই অস্ত্র পাঠিয়েছে।
সৌদি আরবের ডাকা ওই জরুরি বৈঠকে বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী খালিদ বিন আহমেদ আল খলিফা বলেন, সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িতদের আমরা দায়ী করতে চাই। আমরা চাই যেসব দেশে হিজবুল্লাহ আছে বা হিজবুল্লাহ যেসব দেশের সরকারের অংশ, বিশেষ করে লেবাননের মত দেশ যেখানে সরকারের একটা বড় অংশই হিজবুল্লাহ সেখানে অবশ্যই সেসব দেশকে দায়ী করতে চাই আমরা। এই সন্ত্রাসী সংগঠন পুরো লেবাননকে নিয়ন্ত্রণ করছে বলেও অভিযোগ করেন আল খলিফা। কিন্তু এ ধরনের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে হিজবুুল্লাহ সংগঠন। খবর আল জাজিরা।