কারাফটক থেকে: প্রিয় পাঠক একের পর এক ঘটনার মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে দুই যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর হওয়ার বিষয়টি।
শনিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর থেকে ঘটছে কিছু ঘটনা। যা ধারাবাহিকভাবে আপনাদের উদ্দেশ্যে তুলে ধরছে অগ্রদৃষ্টি অনলাইন পত্রিকা।
রাত ৮টা: ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রবেশ করেছেন অতিরিক্ত আইজি প্রিজন কর্নেল মো. ফজলুর কবির। তার প্রবেশের সময়টিতে কারাফটকে কঠোর নিরাপত্তা চলছিলো। উপস্থিত সাংবাদিকদের ভীড়ের মাঝেই তিনি কারাফটকে পৌঁছে চট করে ঠুকে পড়েন কারাগারের ভেতরে।
রাত: ৭টা ৪৫ মিনিট: এই সময় থেকেই নাজিমুদ্দিন রোডসহ কারাগার এলাকায় দোকানপাট গুলো বন্ধ হতে শুরু করে।
রাত ৭টা ৩০ মিনিট: কারা সংশ্লিষ্টরা কারাফটক এলাকা থেকে শুরু নাজিমউদ্দিন রোড পর্যন্ত ঘুরে ঘুরে দোকানে দোকানে বলে দেন রাত ৮টার পর কোনও দোকানই খোলা থাকবে না।
সন্ধ্যা ৭টা: দায়িত্বশীল সূত্র থেকে বাংলানিউজ নিশ্চিত হয় মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর রায় কার্যকরকে কেন্দ্র করে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসির মঞ্চে আলো জ্বালানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
শনিবার (২১ নভেম্বর) বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে কারাগারের একটি বিশেষ সূত্র। ইতোমধ্যেই ফাঁসির মঞ্চের লাইট এবং সামিয়ানা নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সঙ্গে গেছে মই ও চোঙা।
এদিকে, ফাঁসি কার্যকরে সাতজন জল্লাদকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তারাই মূলত ফাঁসির আগে-পরে বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশ নেবেন। এই সাতজন হলেন, জল্লাদ আবুল, হজরত, মাসুদ, ইকবাল, রাজু, শাহজাহান ও মুক্তার। সাতজন জল্লাদ ফাঁসি কার্যকর থেকে শুরু করে তার আগে মঞ্চে নিয়ে যাওয়া, মরদেহ ওঠানোর সব কাজ করবেন। অন্যদিকে, প্রস্তুত রাখা হয়েছে বিশেষ অ্যাম্বুলেন্স।
কারাগার এলাকায় তিন স্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আগে থেকেই কারা এলাকায় নিরাপত্তা ছিল জোরদার, তবে বিকেল থেকে আরও বাড়ানো হয়েছে বলে বাংলানিউজকে বিষয়টি জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) লালবাগ জোনের ডেপুটি কমিশনার (ডিসি) মফিজউদ্দিন আহমেদ।
তিনি শনিবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে জানান, হঠাৎ করেই অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। যদিও আগে থেকেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল, কিন্তু এখন তা তিন স্তরে আনা হয়েছে। এছাড়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সব ধরনের যান চলাচলও।
নিরাপত্তা ব্যবস্থায় প্রথম সারিতে রয়েছে পুলিশ বাহিনী, দ্বিতীয় সারিতে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), তৃতীয় সারিতে কারারক্ষী বাহিনী অবস্থান নিয়েছে।