আমাদের সব ক্ষেত্রেই ছিল অভাব, সেই অভাব অবস্থান থেকে ৪৫ বছরের পর আমরা উল্লেখ যোগ্য দেশ হিসাবে পরিনত হয়েছি। যে দারিদ্রতার ছিল ৭০ শতাংশ এখন এ দারিদ্র সংখ্যা ২২ শতাংশ নেমে এসেছে। আগামী ১০ বছরের মধ্যে দারিদ্রতার হার ৬ থেকে ৭ শতাংশে নেমে আসবে। ৬ থেকে ৭ শতাংশ দারিদ্রতা পৃথিবীর সব দেশেই থাকে।
গতকাল শনিবার দুপুরে হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার যুগল- কিশোর (জে.কে) উচ্চ বিদ্যালয় এর শতবর্ষপূর্তি উদযাপন উপলক্ষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত এ কথা গুলো বলেন। তিনি আরো বলেন, মুগল সা¤্রাজ্যের সময় আমরা বেশ উন্নত ছিলাম। মুগল সা¤্রাজ্যের ইতিহাসবীদ সৈয়দ আবুল ফজল তার গ্রন্থে মুগল শাসনের ব্যাপক বিবরণ আছে। সেখানে একটি জিনিস আমাকে খুব দুঃখ দেয়। আমি ভাবলাম, এটা কেন হলো? তার এতো বড় বইয়ে সব কিছুর বিবরণ আছে। কিন্তু একটি বিষয় উল্লেখ করা হয় নি। আর সেটি হলো শিক্ষা। অনেকেই মনে করেন শিক্ষার প্রতি তখন জোর দেয়া হয়নি। তখনকার শিক্ষা ব্যবস্থা এবং বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা আকাশ পাতাল ব্যবধান। আমাদের দেশে রাষ্ট্রিয় দায়িত্ব হিসাবে শিক্ষার সুচনা হয় বিট্রিশ আমলে। উনোবিংশ শতাব্দীর শুরুতেই একটা শিক্ষা নীতি প্রনীত হয়। সেই শিক্ষা নীতিটি আজ পর্যন্ত আমাদের দেশে চলছে। কিছু কিছু অংশ বিবর্তন- পরিবর্তন হয়েছে। আমাদের দেশে সরকারি বিদ্যালয় ১৮৪০ সাল থেকে প্রতিষ্ঠা শুরু হয়। লর্ড হার্ডডিস্ক তখন এ দেশের গর্ভন জেনারেল এবং ব্রিটিশ সরকার তার জন্য যথেষ্ট অর্থ মঞ্জুর করে। সুতরাং আপনারা ১৯১৬ সালে স্কুল প্রতিষ্ঠা করে পিছিয়ে নেই।
গতকাল দুপুর ১২টায় নবীগঞ্জ জে.কে উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বেলুন উড়িয়ে শতবর্ষপুর্তি উৎসবের উদ্বোধন করেন। গার্ডওব অনার শেষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির আসন গ্রহন করেন।
সভা শেষে সাংবাদিকদের সার্চ কমিটি গঠন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেন, রাষ্ট্রপতি গঠিত নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য যে সার্চ কমিটি গঠন করা হয়েছে তা অত্যন্ত সঠিক ও খুবই ভাল। সার্চ কমিটির সদস্যরা জ্ঞাণী, গুনী ও ভাল লোক। যারা সার্চ কমিটি নিয়ে অভিযোগ তুলেছেন তা ভ্রান্ত ও রাবিশ। এর কোন ভিত্তি নেই।
সভায় প্রধান অতিথি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত দুপুর ১টা ১৫মিনিট থেকে ১টা ৩৭মিনিট পর্যন্ত প্রায় ২২মিনিট দেশের শিক্ষা, আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও আই.সি.টি নিয়ে বক্তব্য রাখেন।
শতবর্ষ পুর্তি অনুষ্টানের আহবায়ক ও নবীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান আলমগীর চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও উজ্জল দাশ এর পরিচালনায় এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, হবিগঞ্জ- ৩ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ আবু জাহির, হবিগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য এম এ মুনিম চৌধুরী বাবু, হবিগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ডাঃ মুশফিক হোসেন চৌধুরী, জেলা প্রশাসক সাবিনা আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আ.স ম শামছুর রহমান।
সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন, মুফতি মুহিবুর রহমান, গীতাপাঠ করেন, স্বামী কৃপারূপা নন্দজি মহারাজ। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, অধ্যাপক তোফাজ্জল ইসলাম, প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিলেট সরকারি মদন মোহন কলেজের অধ্যক্ষ ডঃ আবুল ফতেহ ফাত্তাহ্।