দীর্ঘদিন ধরে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগ ও এলাকাবাসীদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার চন্দ্রঘোনার এলাকার দুই আবাসিক হোটেলে অবশেষে তালা ঝুলেছে। শুক্রবার (৩ মার্চ) রাতে চন্দ্রঘোনা-কদমতলী ইউপি চেয়ারম্যান ইদ্রিছ আজগর লিচুবাগানের ‘মেঘনা বোর্ডিং’ ও ‘ভাই ভাই বোর্ডিং নামে এই দুই আবাসিক হোটেলে তালা ঝুলিয়ে দেন।
চন্দ্রঘোনা-কদমতলী ইউপি চেয়ারম্যান ইদ্রিছ আজগর জানান, ‘দীর্ঘদিন ধরে এই আবাসিক হোটেল দুটির বিরুদ্ধে অনৈতিক ও অসামাজিক কর্মকান্ডের অভিযোগ করে আসছিল স্থানীয় জনতা। এই বিষয়ে সংবাদ আমার দৃষ্টিগোচর হয়। গত ২৭ ফেব্র“য়ারি হোটেলগুলো বন্ধে ইসলামী তৌহিদী জনতার ব্যানারে ইউনিয়ন পরিষদে স্মারক লিপি প্রদান করা হয়। বিভিন্ন দিক বিবেচনা পূর্বক অনৈতিক কর্মকান্ড চালানোর বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখি এবং সরেজমিনে গিয়ে তা তালাবদ্ধ করে দিয়েছি।’
উল্লেখ্য চন্দ্রঘোনা বাণিজ্যিক কেন্দ্র লিচুবাগান ও দোভাষী বাজার এলাকায় ৪টি আবাসিক হোটেল দীর্ঘদিন যাবত পুলিশ প্রশাসনকে ম্যানেজ করে দাপটের সহিত অনৈতিক কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে। এসব কর্মকান্ডের কারণে এলাকার সার্বিক পরিবেশ বিষিয়ে উঠে। এলাকার সর্বস্তরের জনসাধারণ এসব হোটেলে অনৈতিক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসে উঠে। গত ২৪ ফেব্র“য়ারি ইসলামী তৌহিদী জনতার ব্যানারে এসব অনৈতিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত আবাসিক হোটেল বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে। এসমাবেশের পর থেকে এলাকার মধ্যে হোটেলগুলো নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠে। এরই প্রেক্ষিতে ইউপি চেয়ারম্যান ইদ্রিছ আজগর দুই হোটেলে তালা লাগিয়ে দেয়। তালা ঝুলানোর পর থেকে এলাকায় অনেকটা স্বস্তি ফিরে আসলেও অপর দুই আবাসিক হোটেল বন্ধের লক্ষে ইসলামী তৌহিদি জনতার নেতৃবৃন্দ জোর দাবি জানান। অন্যাথায় বৃহৎ আন্দোলন ঘোষণা করা হবে বলে নেতৃবৃন্দরা হুশিয়ারি প্রদান করেন।
রাঙ্গুনিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ হুমায়ুন কবির জানান, আবাসিক হোটেলগুলোতে অসামাজিক কর্মকান্ডের অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যানের তালা ঝুলানোর বিষয়টি আমাকে অবহিত করেছেন এবং এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।