সুনামগঞ্জে সবকটি নদ-নদীতে রাতে পানি বাড়লেও তা দিনে কমতে শুরু করেছে। তবে রাতের পানিতে শহরের সাহেববাড়ি ঘাট, বাজার এলাকা ও লঞ্চঘাট প্লাবিত হয়েছে।
ভারতের মেঘালয় এবং সুনামগঞ্জে ভারী বর্ষণের কারণে নদ-নদীতে পানি বেড়েছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
বুধবার সন্ধ্যায় সুনামগঞ্জে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ৪৪ সেন্টিমিটার নিচে থাকলেও বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তা ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
আর শুক্রবার সকালে পানি বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও তা বেলা ৩টার দিকে ১৬ সেন্টিমিটারে নেমে আসে বলে জানায় পাউবো।
পানি বাড়ায় দোয়ারাবাজার, ছাতক, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সীমান্ত ও নদী তীরবর্তী এলাকার রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। সেই সঙ্গে জেলা শহরের বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
সুনামগঞ্জ পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, বুধ ও বৃহস্পতিবার মেঘালয়ে ৩১০ ও ১১৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। সুনামগঞ্জেও এ দুই দিন ২৬০ ও ১৫৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে পাহাড়ি ঢলে পানি বেড়েছে।
রাতে নদ-নদীর পানি বাড়লেও শুক্রবার দুপুর থেকে পানি কমতে শুরু করেছে। বেলা ৩টায় পানি ১৬ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৭ দশমিক ৯৪ মিটার উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে। তবে এখনো পানি বিপৎসীমার ১৪ সেন্টিমিটার উপরে আছে।
ভারী বর্ষণ ও ঢল অব্যাহত থাকলে সুনামগঞ্জে স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে বলে জানান পাউবোর এই কর্মকর্তা।
সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী বলেন, নদ-নদীর পানি বাড়লেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। আশ্রয়কেন্দ্র ও ত্রাণ প্রস্তুত আছে। এখনও ২১টি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় পাঁচ শতাধিক বন্যার্ত লোকজন আছেন।
রাতে পানি বাড়লেও দুপুর থেকে তা কমতে শুরু করেছে; তবে নতুন করে কেউ আশ্রয়কেন্দ্রে ওঠেননি বলে তিনি জানান।