
একবার এক ছোট্ট গ্রামের এক বাড়িতে দুটি বিড়াল ছানা জন্ম নিল। একটির নাম ছিল কালু, তার লোম ছিল কালো আর সাদা, যেন মেঘ আর চাঁদের টুকরো মিশে আছে। অন্যটির নাম ছিল ভুলু, তার লোম ছিল বাদামী আর সাদা রঙের। ভুলু দেখতে ছিল যেন শরতের ধূসর মেঘে ঢাকা এক টুকরো নরম রোদ। তাদের মা বিড়ালটি খুব যত্ন নিত তাদের। কিন্তু তারা দুজন যেন একে অপরের আশ্রয় ছিল।
কালু ছিল একটু শান্ত স্বভাবের। সে সারাদিন মায়ের কোলের কাছে শুয়ে থাকতে ভালোবাসত। ভুলু ছিল চঞ্চল। সে সারাদিন খেলাধুলা করত, এদিক ওদিক লাফাত। ভুলুর এই চঞ্চলতার কারণে কালু মাঝে মাঝে বিরক্ত হলেও, সে ভুলুকে ভালোবাসত খুব। রাতে যখন তারা ঘুমাতে যেত, তখন ভুলু কালুর পাশে গিয়ে ঘেঁষাঘেঁষি করে শুয়ে পড়ত।
একদিন রাতে খুব ঝড় বৃষ্টি শুরু হল। বাইরে অন্ধকার, বিদ্যুতের ঝলকানি আর মেঘের গর্জন। কালু আর ভুলু খুব ভয় পেয়ে গেল। ভুলু ভয়ে কাঁপছিল। কালু ভুলুকে কাছে টেনে নিল, তার নিজের শরীর দিয়ে ভুলুকে ঢেকে রাখল। ভুলু কালুর নরম লোমের মধ্যে মুখ গুঁজে দিল। কালু ভুলুকে সান্ত্বনা দিচ্ছিল, “ভয় পেও না, আমি আছি তোমার কাছে।” সেই রাতে তারা দুজন একে অপরের উষ্ণতায় ঘুমিয়ে পড়ল। তাদের এই ভালোবাসা আর স্নেহ দেখে তাদের মা বিড়ালটি মনে মনে খুব খুশি হলো। সে বুঝতে পারল, তার দুই সন্তান শুধু ভাই-বোন নয়, তারা একে অপরের বন্ধু, একে অপরের আশ্রয়। তাদের এই ভালোবাসা চিরকাল থাকবে।











