ছাতকে সীমাহীন দূর্নীতি, অনিয়ম অব্যবস্থাপনা ও সরকারি বরাদ্ধ আত্মসাতের আনীত অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যানসহ পরিষদের বিরুদ্ধে ঝাড়– মিছিল অনুষ্টিত হয়েছে। সোমবার সকালে জাউয়াবাজারে সচেতন ইউনিয়নবাসির উদ্যোগে আয়োজিত মিছিলটি খিদরাকাপন গ্রামের ডাক্তার আবদুল মজিদ কমপ্লেক্স থেকে শুরু হয়ে সিলেট-সুনামঞ্জ সড়কের রাজনপুর ও জাউয়াবাজার হয়ে জাউয়া কলেজ গেট প্রদক্ষিণ শেষে জাউবাজার ইউনিয়ন পরিষদ সম্মূখে এসে প্রতিবাদ সভায় মিলিত হয়। ব্যবসায়ি লায়েক মিয়া তালুকদারের সভাপতিত্বে ও প্রবাসি আ’লীগ নেতা হাজি নিজাম উদ্দিনের পরিচালনায় অনুষ্টিত সভায় বক্তব্য রাখেন, জাউয়াবাজার ব্যবসায়ি সমিতির সভাপতি আছাদুর রহমান আছাদ, পাইগাঁও হাইস্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি রেজা মিয়া তালুকদার, উপজেলা আ’লীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য শাহিন মিয়া তালুকদার, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সাইফুল আলম, ডাক্তার হারিছ আলী স্মৃতি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হেলাল উদ্দিন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রেজাউল করিম রেজা, উপজেলা যুবলীগ নেতা আমতর আলী। এসময় ব্যবসায়ি, রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, শিক্ষক, ছাত্র, জনপ্রতিনিধিসহ ইউনিয়নের বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন। সভায় বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, ইউপি চেয়ারম্যন মুরাদ হোসেন নির্বাচিত হবার পর থেকে পরিষদকে ম্যানেজ করেই সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আত্মসাত করে যাচ্ছেন। ফলে সরকারি সূযোগ-সুবিধা থেকে ইউনিয়নবাসী বি ত হলেও প্রকল্প বিক্রির টাকায় ক্রমশঃ স্ফীত হচ্ছে চেয়ারম্যান-মেম্বারদের ব্যাংক ব্যালেঞ্ছ। এরই ধারাবাহিকতায় ৩০ডিসেম্বর রাতে ছাতক উপজেলা পরিষদ থেকে ১০কার্টুন (প্রতি কার্টুনে ৫টি করে ৫০পিস) দুম্বার মাংশ এনে রাতেই ইউনিয়ন পরিষদে তারা ভাগ-বাটোয়ারা করে নেন। এব্যাপারে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নূরুল ইসলাম বলেন, সরকারি মালামাল অবশ্যই জনগনকে পেতে হবে। এগুলো পাওয়া তাদের ন্যায্য অধিকারও বটে। এসব থেকে কখনও যদি জনগনকে বি ত হয় তাহলেহিতে বিপরীত হতে পারে বলে তিনি জানান। এদিকে সোমবার বিকেলে ইউপি চেয়ারম্যান মুরাদ হোসেনের সভাপতিত্বে পরিষদের তাৎক্ষনিক এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্টিত হয়। বড়কাপন বাজারে অনুষ্টত সভায় উপস্থিত ছিলেন, ইউপি সদস্য হিরণ মিয়া, হাজি সুনা মিয়া, আবদুন নূর, কাজি রুমেল মিয়া, এসএম মাহমুদ, আঙ্গুর মিয়া, আবদুল কুদ্দুছ সুমন, আদুল হক, আবদুর রহিম, সদস্যা সায়েরা বেগম, মমতাজ বেগম ও সাফিয়া বেগম। সভায় মুরাদ হেসন লেন, জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি কুচক্রিমহল নানা তৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে। তিনি এসব অপতৎপরতায় বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্যে ইউনিয়নবাসির প্রতি আহবান জানান। তিনি আরো বলেন, রেজা মিয়া তালুকদার তার সাথে ইউপি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে এবং জেলা পরিষদ নির্বাচনে ১২নং ওয়ার্ডে সদস্য পদেও আবদুল আজাদের কাছে বিপুল ভোটের ব্যবধানে শোচনীয় পরাজয় বরন করেছেন। এসব পরাজয়ের গ্লানি সইতে না পেরে তিনি এসব তৎপরতা চালাচ্ছেন বলে দাবি করেন।