মিশকাত উজ্জ্বল – ক-বলতেই কলকাতা বুঝে ফেলি আমরা–কলম-খাতা বুঝি না।
জন্মের তেতাল্লিশ বছর পরেও হামাগুড়ি ছেড়ে হাঁটতে শেখেনি স্বদেশ!
বুঝি না খাতা-কলমে সেসব হিসাবের গড়মিল।
খ-বলতেই খেয়ে ফেল মানচিত্রের নকশা বদলে দেবার মতো
বিশাল ভূ-খন্ড, পর্চা, খতিয়ান৷
গ-বলতে গরুর মতো জনগণের কাঁধে জোয়াল তুলে দিয়ে
দূর্নীতির চাষাবাদে সিদ্ধহস্ত টাকারকুমির, টাকা কামানোর মন্ত্র বোঝ;
গণতন্ত্রের মানে বোঝ না?
ঘ-তে লাটাইয়ে বাঁধা ঘুড়ির মতো
প্রজাতন্ত্রের চাকরদের নাকে দড়ি দিয়ে ইচ্ছে মতো উড়াচ্ছ, উড়াও।
ঙ-র মাথায় রক্ত উঠলে কবে যে ল্যাঙ মেরে ঠ্যাঙ ভেঙে দেই দু-চারটার…
চ-তে চানাচুরের মতো চিবিয়ে খেয়ে ফেলতে ইচ্ছে করে
জনগণের টাকায় কেনা মন্ত্রীর গাড়িগুলি
যখন দেখি পাবলিক-রাস্তা আটকে
‘ভিআইপি’ তকমা সেঁটে নবুয়্যতী ভঙ্গিমায় ছুটে চলে
ঘন্টার পর ঘন্টা গোটা শহরকে যানজটের কবলে ফেলে।
ধ-বলতে ধর্ষণ, ধর্ম-বিকৃতি বোঝ; ধর্মের দর্শন খুঁজে দেখ না।
প-বলতেই পদ বোঝ; পদোন্নতির জন্য নীতিহীন কর্তাদের কর পদলেহন;
ত্রিশ্লাখ শহীদের রক্তে অর্জিত পতাকার সম্ভ্রম বোঝ না!
ম-তে মসনদ বোঝ; মানুষ বোঝ না?