সৌদি আরবের আকাবা শারে ওমরাহযাত্রীদের বাস দুর্ঘটনায় নিহত ২২ জনের মধ্যে ৮ জনই বাংলাদেশি নাগরিক বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ দূতাবাস।
জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেটের একজন কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বাসে মোট যাত্রী ছিল ৪৭ জন, তার মধ্যে বাংলাদেশি যাত্রী ছিলেন ৩৫ জন।
“দুর্ঘটনায় নিহত হন মোট ২২ জন। তাদের মধ্যে ৮ জন বাংলাদেশি বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। বাকিদের বিষয়ে তথ্য অনুসন্ধান চলমান।”
নিহত বাংলাদেশিরা প্রবাসী কর্মী বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
নিহতরা হলেন নোয়াখালীর সেনবাগের শরিয়তউল্লাহর ছেলে শহিদুল ইসলাম, কুমিল্লার মুরাদনগরের আব্দুল আউয়ালের ছেলে মামুন মিয়া, নোয়াখালীর মোহাম্মদ হেলাল, লক্ষ্মীপুরের সবুজ হোসাইন, কুমিল্লার মুরাদ নগরের রাসেল মোল্লা, কক্সবাজারের মহেশখালীর মো. আসিফ, গাজীপুরের টঙ্গীর আব্দুল লতিফের ছেলে মো. ইমাম হোসাইন রনি, চাঁদপুরের কালু মিয়ার ছেলে রুক মিয়া।
সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন আল আখবারিয়া জানিয়েছে, ওমরাহযাত্রীদের বাসটি খামিস মুশাইত শহর থেকে রওনা হয়ে মক্কায় যাচ্ছিল। স্থানীয় সময় সোমবার বিকাল ৪টার দিকে আসির প্রদেশের আকাবা শার সড়কে সেটি দুর্ঘটনায় পড়ে।
একটি সেতুর ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি পাহাড়ি দেয়ালে ধাক্কা খায় এবং আগুন ধরে যায়। বাসটির ব্রেকে সমস্যা হয়েছিল বলে জানানো হয়েছে সৌদি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন জানিয়েছেন, দুর্ঘটনা কবলিত বাসে যে ৩৫ জন বাংলাদেশি ছিল, তাদের মধ্যে ১৮ জন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
দুর্ঘটনার পর ওই বাসের কয়েকজন বাংলাদেশি যাত্রীর খোঁজ এখনও মেলেনি। তাদের মধ্যে রয়েছেন কুমিল্লার দেবিদ্বারের গিয়াস উদ্দিন, মহেশখালীর শেফায়েত উল্লাহ, যশোরের কোতোয়ালির নাজমুল হাসান এবং রনি।
স্বজনদেরকে প্রয়োজনে জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেটের দুটো নম্বরে যোগাযোগ করতে বলেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
নম্বর দুটি হল: প্রথম সচিব (শ্রম) মো. আরিফুজ্জামান- +966538643532 এবং কাউন্সেলর (শ্রম) কাজী এমদাদ- +966 55 302 6814.
সূত্র, বিডিনিউজ২৪ ডটকম