নিজস্ব সংবাদদাতা : পদ্মা নদীর পানি নামছে, জেগেছে চর। সেই চরে রবি শস্য চাষে এখন ব্যস্ত চাষিরা। পবা উপজেলা কৃষি অফিস বলছে, পদ্মার চরের মসুর, প্রায় ২১৭ হেক্টর জমিতে খেসারি, সরিষা, গম, ভুট্টা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবার চাষের আওতা বেড়েছে।
এই রবি মৌসুমে বেরো, গম, মসুর, মটর, খেসারি ও সরিষাসহ নানা জাতের ফসল ফলাতে চাষিরা উদ্যোগী হয়েছেন। চরে চাষাবাদ করতে সেচ, সার ও বিষের খরচ নেই বললেই চলে। কোনো কোনো ফসলে দুই-এক বার সেচ দিতে হয়। আবার অনেক ফসলে সেচ একদম লাগে না। এতে করে কৃষকের অনেকটা সাশ্রয় হয়।
পবা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা একেএম মঞ্জুরে মাওলা বলেন, পবা এলাকাভুক্ত খিদিরপুর, নবী নগর, মাজারদিয়াড়, নবগঙ্গা, খানপুর, জাহাজঘাট, শ্যামপুর প্রভৃতি এলাকায় চর জেগেছে। এসব এলাকায় রবি শস্য মশুর, মটর, খেসারি, সরিষা চাষ শুরু হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, পদ্মার চরে প্রায় ১৫ হেক্টর জমিতে মসুর, দুই হেক্টর জমিতে খেসাড়ি, সাড়ে তিন’শ হেক্টর জমিতে সরিষা, গম চাষ হবে ১৫ হেক্টর জমিতে। এছাড়া মৌসুমের শেষ দিকে চাষ হবে ভুট্টা। ভুট্টা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২০ হেক্টর জমিতে।
শ্রীররামপুর এলাকার চাষি সাগর শেখ বলেন, চাষিরা পানি নামার অপেক্ষায় থাকেন। পানি নেমে গেলে তারা রবি শস্য চাষের জন্য জমি তৈরি শুরু করে। জমি তৈরি হলে চাষিরা বীজ বপণ শুরু করেন। তিনি ৮০ বিঘা জমিতে মসুর ও খেসারি চাষ করেছেন। এর মধ্যে ৫০ বিঘা জমিতে মসুর ও ৩০ বিঘা জমিতে খেসারি।
তিনি আরো বলেন, প্রতিবিঘা জমিতে চাষাবাদ করার জন্য খরচ হয় সাড়ে তিন হাজার টাকা। এর মধ্যে এক বিঘা জমিতের আগাছা বা বুনোখড় পরিস্কার করতে দুই হাজার টাকার শ্রমিক লাগে। জমিতে ট্রাক্টারসহ খরচ হয় সাড়ে তিন হাজার টাকা। পদ্মা চরে অল্প খরচে বেশ কয়েক ধরনের ফসল হয়। তারমধ্যে মসুর ও খেসারি চাষে সেচ ও সার লাগে না বলে জানান তিনি।
মাজারদিয়াড় এলাকার চাষি আকরাম আলী বলেন, এখানে জমি চাষ করতে লিজের জন্য কিছু টাকা খরচ হয়। এছাড়া রবি ফসল চাষ করতে সার, সেচ কিছুই লাগে না। তবে গম চাষে সেচ ও সার লাগলে পরিমাণে অনেক কম। ভুট্টা চাষের জন্য অল্প পরিমাণে সার ও সেচ লাগে।