মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধিঃ দীর্ঘ দিন ধরে ওয়ারেন্ট ভোক্ত পলাতক থাকা আসামি মো: ইকরামুল হক। ইকরামুল হক হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার দেবপুর গ্রামের মো: ইমদাদুল হকের ছেলে। উলেখ্য ,সে গত ১২/০৮/২০১৫ ইং তারিখে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার বাসিন্দা শরীফ উদ্দিনের কাছ থেকে ব্যবসার জন্য ৩ লক্ষ টাকা কর্জ করেন। নির্ধারিত সময় মত টাকা পরিশোধ করতে অপারগতা প্রকাশ করে। শরীফ উদ্দিন টাকার জন্য চাপ সৃষ্টি করলে সে বাধ্য হয়ে নগদ টাকা পরিশোধ না করে গত ২০/১০/২০১৫ ইং তারিখে তার স্বাক্ষরিত ওয়ান ব্যাংক লিমিটেড এর চেক প্রদান করে। তাহার নামীয় হিসাব নম্বর-০২২৫১৮২২৫০০০৯ এবং চেক নম্বর-অ বি এল এস বি এ ২৪৮৩৩৩০,তিন লক্ষ টাকার চেক প্রদান করেছিলেন শরীফ উদ্দিনের হাতে।
উক্ত চেকখানা নগদয়নের জন্য গত ২১/১০/২০১৫ ইং তারিখে স্ট্যান্ডর্ড ব্যাংক লিমিটেড মৌলভীবাজার শাখার উপস্থাপন করলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানান এই গ্রাহকের একাউন্টে এত টাকা নেই। এ বিষয়ে ইকরামুলের সাথে যোগাযোগ করা হলে সে কোনো ধরনের সটিক উত্তর দিতে পারে নি। পরে বাধ্য হয়ে শরীফ উদ্দিন পাওনা টাকা আদায়ের জন্য নিমিত্তে বিজ্ঞ আইনজীবীর মাধ্যমে রেজি: এডি সহ ডাকযোগে বিগত-০৩/১১/২০১৫ ইং তারিখে বিবাদীকে লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করেন।
কিন্ত বিবাদী উক্ত লিগ্যাল নোটিশ ১২/১১/২০১৫ ইং তারিখে হাতে পেয়েও আইনকে উপেক্ষা করে নোটিশের বর্ণিত ৩০ দিনের মধ্যে শর্তানযায়ী পাওনা টাকা পরিশোধ করেননি।
ফলে বাধ্য হয়ে শরীফ উদ্দিন কোর্টে মামলা করেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো: হাবিবুর রহমান চৌধুরী আসামি মো: ইকরামুল হক এর বিরুদ্ধে লেগোশিয়েবল ইন্সপ্রমেন্ট এ্যাক্ট ১৩৮ ধারায় অপরাধ আমলে নেন।আসামীর প্রতি সমন জারি করেন।পরে আসামি কোর্টে না হাজির হওয়াতে পরবতীতে আদালত ওয়ারেন্ট জারি করেন। মামলা নং-সি আর ৫৩২/২০১৫(সদর)
সে বর্তমানে পলাতক রয়েছে। যদি তাকে কোথাও দেখা যায়; তাহলে নিকটস্থ থানায় যোগাযোগ করে ধরিয়ে দেয়ার অনুরোধ করেছেন ভুক্তভোগী বাদী শরীফ উদ্দিন ও সংশ্লিষ্ট আদালত।