এন.আই.মিলন, দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ দিনাজপুরের বীরগঞ্জে “বিশেষ এলাকার জন্য উন্নয়ন সহায়তা” শীর্ষক অনুদানের চেক বিতরন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে এমপি গোপাল উদ্বোধন করেন।
বীরগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আলম হোসেন এর সভাপতিত্বে উপজেলা সমাজ সেবা ও যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সহযোগীতায় “বিশেষ এলাকার জন্য উন্নয়ন সহায়তা” শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় নির্মিত সেলাই প্রশিক্ষন কেন্দ্রের উদ্বোধনী ও অনুদানের চেক বিতরন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন দিনাজপুর-১ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল।
এসময় বিষেশ অতিথি হিসাবে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বীরগঞ্জ থানা অফিসার ইনর্চাজ আক্কাস আহম্মেদ, সমাজ সেবা কর্মকর্তা মোঃ মতিয়ার রহমান, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ রাজিউর রহমান, উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ ফিরোজ হাসান, উপজেলা আওয়ামীলীগের (ভারপ্রাপ্ত) সাধারন সম্পাদক নুর ইসলাম নুর, যুগ্ম-সম্পাদক শামীম ফিরোজ আলম শামীম, সাংগঠনিক সম্পাদক গোপাল দেব শর্মা, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মোঃ ইয়াছিন আলী, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি মোশারফ হোসেন বাবুল, সাধারন সম্পাদক অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম, পল্লী বিদ্যুৎ ডিজিএম মমিনুর রহমান বিশ্বাস প্রমূখ।
আলোচনা সভা শেষে প্রধান অতিথি সমাজ কল্যান পরিষদের বিশেষ অনুদানের ৪৩ জনরে মধ্যে ৮৬ হাজার টাকা,সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের ৫ জন সদস্যকে ৯০ হাজার টাকা এবং ২ জন সাংস্কৃতিক সেবীকে ২৪ হাজার করে ৪৮ হাজার টাকার চেক প্রদান করেন। একই সময় তিনি যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর কর্তৃক প্রশিক্ষন প্রাপ্ত ১৭ জন সদস্যদের মাঝে ৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা এবং ১২ জন সদস্যকে বায়োগ্যাস এর জন্য ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকার ঋণের চেক বিতরন করেন।
অনুষ্ঠানে এমপি গোপাল বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যা বলেন তিনি তাই করেন, তার সরকারের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির ফলে আজ ১০ টাকা কেজি দরে মানুষ চাল ক্রয় করতে পারছেন। গ্রামে-গঞ্জে অনেক মানুষ হত দরিদ্র এবং স্বল্প এবং নি¤œ আয়ের। এই হত দরিদ্র মানুষদের মধ্যে নারীদেরও সংখ্যা অনেক। হতদরিদ্র ও স্বল্প আয়ের মানুষদের উন্নয়নে সরকার বিশেষ এলাকার জন্য উন্নয়ন সহায়তা কর্মসূচীর পদক্ষেপ গ্রহন করেছেন। সমাজের অবহেলিত হতদরিদ্র অসচ্ছল মানুষজন যেন বিভিন্ন প্রশিক্ষনের মাধ্যমে প্রশিক্ষন গ্রহন করে স্বচ্ছল অবস্থায় ফিরে জীবন জিবীকা নির্বাহ করতে পারেন তার জন্য শেখ হাসিনার সরকার এই উন্নয়ন কর্মসূচী গ্রহন করেছেন। তাই আগামী দিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই বাংলাদেশ ক্ষুধা-দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত হবেই হবে।