ষ্টাফ রিপোর্টারঃ নবীগঞ্জ উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের সাদুল্লা পুর গ্রামে একদল প্রভাবশালীদের কান্ড! অসহায় দিন মজুর আলামীন মিয়া (১৫) নামের কিশোরকে রাস্তা থেকে বাড়ীতে ধরে নিয়ে অমানষিক নির্যাতন ও বেধড়ক প্রহারে সে গুরতর আহত হয়ে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গত ১৩ দিন ধরে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। এ ঘটনায় নির্যাতিত কিশোরের পরিবারে অজানা আতংক ও হতাশা রিরাজ করছে। জানাযায়,উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের সাদুল্লা পুর গ্রামের অসহায় দিন মজুর সাদ্দক মিয়ার পুত্র আলামীন মিয়া একই গ্রামের আবন মিয়ার বাড়ীতে দিন মজুরের কাজ করতো। গত ২৯ মার্চ সন্ধ্যা অনুমান ৭টায় শ্রমিকের কাজ শেষে সে রাস্তা দিয়ে তার বাড়িতে যাওয়ার পথিমধ্যে তাকে রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে একদল লাঠিয়াল বাহিনী অমানষিক নির্যাতন ও বেধরক প্রহার করে তাকে গুরতর আহত করে। এসময় তার আর্ত চিৎকারে পাশ্ববর্তী লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে অবস্থার বেগতিক দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। আহত আলামীনের মাতা দিন মজুর অসহায় ছইফা বেগম বলেন, তার পুত্রকে একই গ্রামের মৃত আতিক মিয়ার পুত্র ফরুক মিয়া গরুর ঘাস কেটে দেওয়ার জন্য ঘটনার আগের দিন বলেছিলেন। কিন্তু প্রভাবশালী ফরুক মিয়ার কথা না শোনায় তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন ফরুক মিয়া,এনিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এরই জেরধরে ঐ বাড়ীর পাশ্ববর্তী রাস্তাদিয়ে সে বাড়ী ফেরার সময় পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা,ফরুক মিয়া,তার ভাই ছুফি মিয়া,,জিলু মিয়া ও সেজলু মিয়া সহ কয়েকজন তাকে ধরে নিয়ে বাড়িতে তুলে নিয়ে চালায় নির্যাতনের ষ্টিম রোলার। এসময় তার আর্ত চিৎকারে পাশ্ববর্তী লোকজন তাকে উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় অসহায় কিশোরের মা,ছইফা বেগম অজানা আতংকে দিন যাপন করছেন।