মিজানপনা রাজাপুর(ঝালকাঠী থেকেঃ ঝালকাঠীর রাজাপুরে পল্লীবিদ্যুতের ডিজিটাল মিটারে সংযোগ ছাড়াই রিডিং উঠছে। এ রিডিংয়ে ইউনিট দেখে বিল করছেন অফিসের লোকজন। এর ফলে দিশাহারা হয়ে পড়েছেন গ্রাহক ওবায়দুল হক । এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট অফিসে অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না তিনি। শুধু ওবায়দুল হক নয় তার মতো শতশত গ্রাহক পল্লীবিদ্যুতের ডিজিটাল মিটার নিয়ে চরম বেকায়দায় পড়ে অফিস প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। অভিযোগ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মোল্লারহাট বাজারে একটি নতুন দোকান বসিয়ে ব্যবসা করছেন ওবায়দুল হক । তিনি তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বিদ্যুৎ সংযোগ নেবার জন্য রাজাপুর পল্লীবিদ্যুৎ অফিসে দুই মাস আগে আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অফিসের লোকজন গত ৭ই জুলাই তার দোকান ঘরে ডিজিটাল মিটার বসিয়ে দেন। কিন্তু সংযোগ দেয়ার পর রাত্রে মেইন সুচ বন্ধ করে বাড়ী চলে গেলেও এরপরও তার মিটারে রিডিং উঠে। বিষয়টি নিয়ে তিনি অফিসে একখানা লিখিত অভিযোগ করেন ও ইমেইল বার্তা যোগে ঝালকাঠী পল্লীবিদ্যুত অফিসেও পাঠান। অভিযোগের পর তাদের দেওয়া মিটারের সাথে দুই দোকানে সাব মিটার থাকলেও এ ব্যাপারে একটি জরিমানা সহ সাব মিটারে লাইন অবৈধ বলে সংযোগ দেয়া বন্ধ করার নোটিশ ইস্যু করা হয়। কিন্তু তার ভুয়া ডিজিটাল মিটারে ৪১ দিনে ৭০৫ ইউনিটের ৯১০০ টাকা বিলের কাগজ ইস্যু করা হয়। এমন বিলের কাগজ নিয়ে অফিসে ঘুরছেন ওবায়দুল। নিরুপায় হয়ে ওবায়দুল গত বুধবার উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের জনাব তৌহিদ সাহেবের কাছে পুনুরায় অভিযোগ করেছেন।ঐ অফিসের ইঞ্জিনিয়ার তখন গ্রাহক ওবায়দুল হককে পরামর্শ দেন মেইন সুইচ থেকে আর্থিং কানেকশন খুলে সার্ভিস তারের সাথে কানেকশন করতে তার পর মিটারের চেক করতে বললে তার পরামর্শ অনুযায়ী ঠিক একদিন পর ভূয়া ডিজিটাল মিটারের রিডিং বন্ধ হয়ে যায় এবং ক্রয় কৃত ডিজিটাল সাব মিটারের সাথে পল্লীবিদ্যুতের মিটার একই রিডিং করে থাকে।এখন গ্রাহকের দ্বাবী তার পূর্বে রিডিং কৃত বিল কে পরিশোধ করিবে।এধরনের ভুয়া রিডিং অন্যায় ও গ্রাহক হয়রানী ছাড়া আর কিছুই নয় । একই ধরনের প্রতারণায় পড়েছেন উপজেলার নারিকেল বাড়ীয়া গ্রামের মনির হোসেন টেইলার্স । তিনি তার বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য এক মাস আগে ঝালকাঠী পল্লীবিদ্যুৎ জোনাল অফিসে আবেদন করেন। আবেদনের পর তার বাড়িতে ডিজিটাল মিটার বসিয়ে সংযোগ দেয়া হয়। সংযোগ দেবার একদিন পর তার মিটারে ৫৫ ইউনিট রিডিং পাওয়া যায়। ফলে তিনি অফিসে অভিযোগ করেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ওই মিটারটি খুলে অন্য আরেকটি মিটার বসানো হয়।এবং ঠিক একই পদ্বতিতে আর্থিং কানেকশন খুলে সার্ভিস তারের সাথে লাগালে রিডিং ঠিক হয়ে যায় । ঝালকাঠির পল্লীবিদ্যুৎ সাব জোনাল রাজাপুর অফিসের সহকালী প্রকৌশলী তৌহিদ জানান, ডিজিটাল মিটারে রিডিং নিয়ে গ্রাহকদের প্রায় দিন অভিযোগ আসছে। অভিযোগের ভিত্তিতে মিটার পরিবর্তন করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে সমাধানের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বলে জানান তিনি।