লহ্মীপুর জেলার রকিবুল হাসানকে ভালো ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় হিসেবে এলাকায় চেনেন অনেকেই। তার নিখোঁজ হওয়ার পর পরিবার থানায় জিডিও করেছিল। কিন্ত কোনও হদিস বের করতে পারেনি স্থানীয় পুলিশ।
অবশেষে ছয় মাস পর পরিবার যখন তার ফিরে আসা নিয়ে চরম উদ্বেগে তেমনই সময় বাড়ির কাছেই হাত-পা ও চোখ বেঁধে তাকে ফেলে রেখে যাওয়া হয়।
লহ্মীপুর থানার ওসি লোকমান হোসেন বিবিসি বাংলাকে বলেন, “ঘটনা সঠিক। ছয় মাস আগে তাকে চোখ বাঁধা অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয়। তার পরিবার থানায় জিডি করেছিল। এরপর আজ সকালেই তার বাড়ি থেকে কাছেই ফেলে রেখে যাওয়া হয় একইভাবে চোখ বাধা অবস্থায়”।
রাকিবুল হাসান পুলিশকে জানিয়েছে, অন্ধকার ঘরে চোখ বেঁধে রাখা হয়েছিল তাকে। শুধু খাওয়ার জন্য বা বাথরুমে যাওয়ার সময় তার হাতকড়া খুলে দেয়া হতো।
তার নিখোঁজ থাকা অবস্থায় কন্যা সন্তানের জন্ম হয় যার মুখ তিনি প্রথমবার দেখতে পেলেন আজ ফিরে আসার পর।
এর আগে লহ্মীপুরের আরেকজন ব্যক্তি ডা: ইকবালকেও ঢাকা থেকে ‘নিখোঁজ’ হওয়ার সাত মাস পরে ‘মুক্তি’ দেয়া হয়। তিনি ‘অপহৃত হয়েছিলেন ঢাকার সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকা থেকে। গত পয়লা জুন সে বাড়ি ফিরে যায়।
দুটো ঘটনার মধ্যে কোনও যোগসূত্র আছে কী-না জানতে চাইলে পুলিশ কর্মকর্তা লোকমান হোসেন বলেন এখনো তেমনকিছু জানা নেই তাদের।