ঘুড়ি ওড়ানো একটি মজার খেলা। গ্রাম বাংলার কিশোর কিশোরী ঘুড়ি ওড়ানো মজার খেলায় সারা বেলা ব্যস্ত থাকে। গ্রামের মধ্যে ঘুড়ি ওড়ানো একটি বিনোদনমূলক অবসরের কাজ। এ কাজটি মুলত কিশোর কিশোরীরাই পরিবারের অবাধ্য হয়েই করে থাকে। বাংলাদেশের ঘুড়ি বিনোদন অনেক পুরোনো ইতিহাসের ঘটনা। সেই মোঘল আমল থেকেই বাংলাদেশের মানুষের কাছে ঘুড়ি নিয়ে অনেক ঘটনা আছে। নবাবরাই প্রথম শুরু করে এই ঘুড়ি বিনোদন। ঘুড়ি নিয়ে বিনোদন করাটা নবাব পরিবারের রেওয়াজ ছিল। ধীরে ধীরে এই বিনোদন গ্রাম বাংলার কিশোর কিশোরী কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠে। বাঙালি সংস্কৃতিতে ঘুড়ি বিনোদন এখন একটি অবিচ্ছেদ্য উপাদান। গ্রাম বাংলায় ঘুড়ি ওড়ানো এখনো খুব জনপ্রিয় খেলা। পৌষ মাসের শেষ দিনে, অর্থাৎ পৌষ সংক্রান্তিতে ঘুড়ি ওড়ানো বিনোদন আকাশ ছেয়ে যায়।
কৈশোরে ঘুড়ি-লাটাই নিয়ে ছুটাছুটি গ্রামীণ জনপদে এখনও দেখা যায় কিশোর কিশোরীকে। গ্রামে কেউ কেউ দোকান থেকে কিনে উড়ায় ঘুড়ি তবে বেশির ভাগই নিজে নিজে ঘুড়ি বানিয়ে মজা উপভোগ করে। নাহিদা সুলতানার ফিল্মে চঞ্চল মেয়ে মিতা বাবার অবাধ্য হয়ে কাগজ কেটে তাতে আঠা দিয়ে কয়েকটি বাঁশের চিকন কাঠিতে আটকিয়ে বানিয়ে ফেলে ঘুড়ি। মিতা তার সঙ্গীকে বলে ঘুড়িকে বেঁধে রাখ সুতায়, আরেক মাথায় রাখ লাটাই। ব্যস। হয়ে গেল ঘুড়ি। এখন শুধু ওড়ানোর অপেক্ষা। মৃদু বাতাসে খোলা মাঠে, হোঝা নদীর ধারে বা নিজ ভবনের ছাদে উঠে ছেড়ে দিলেই উড়তে থাকে সাইঁ সাইঁ করে ঘুড়ি। মিতা ঘুড়ি ওড়ানোর সময় লাটাই নীচের দিকে টান দেয়। বাতাসের গতির বিপরীত দিক থেকে উড়ে ঘুড়ি। বাতাস ঘুড়িকে এমন করে দুরদিগন্তে ভাসিয়ে রঙিন স্বপ্ন দেখে মিতা। মিতার বাবা এই স্বপ্নের মাঝে অশনির সংকেত দেয়। মিতাকে ঘুড়ি ওড়ানো থেকে দূরে সরে আনতে মিতার মাকে নির্দেশ দিলেও কাজ হয় না। সেহেতু বিয়ের ব্যাপারটা সম্পূর্ণ রূপে পাকাপোক্ত করে।
আকাশে রঙিন ঘুড়ি দেখতে কার না মন আনন্দে ভরে উঠে। এমন ইচ্ছে নিয়ে কৈশোরে ফিরে যেতে চান নাট্যকার ও পরিচালক নাহিদা সুলতানা শুচি। শৈশবের স্মৃতিকে স্মরণ করেই নির্মাণে মগ্ন হয়েছে তিনি। বর্ধনপুর গাঁয়ের ছোট্ট নদীটির পাড়ে সবুজ ঘাসের মাঠে লাটাই নিয়ে কাটিয়ে দিয়েছে সারাটা দিন। আজ সেসব স্মৃতি ড্রিম মেকিং প্রোডাকশনের ব্যানারে ক্যামেরা ম্যান সাঈদ খান আফ্রিদী সফলতার সাথে কাজ করে। অভিনয়ে নজরুল ইসলাম তোফা, সাবেরা শিমু, পিউ আফরিন, পিথা, আরফিন ও আরো অনেকে চমৎকার অভিনয় করে।