জগলুল হুদা: বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার হলো গণমাধ্যম বান্ধব সরকার। এই সরকারের সময়ে গণমাধ্যমের ব্যপক বিস্তার ঘটেছে। অর্থমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন সেটি তার একান্ত ব্যক্তিগত মতামত। এটি সরকারের কোন মতামত নয় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং দলের অন্যতম মুখপাত্র ড. হাছান মাহমুদ।
বুধবার (০৯ আগস্ট) দুপুরে ধানমণ্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটির বৈঠক শেষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, যে কোন রায়েরই সমালোচনা হতে পারে। যদি বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডের রায়ের পর সমালোচনা হয়, যুদ্ধাপরাধীদের রায়ের পর মানিনা বলে দেশে হরতাল, মিছিল-মিটিং হয়, ষোড়শ সংশোধনীর রায় নিয়েও সমালোচনা হতে পারে। এই বিষয়ে বিস্তারিত আইনমন্ত্রী বলবেন। তবে বিএনপিকে অনুরোধ করবো, পঞ্চম সংশোধনী নিয়ে আপিল বিভাগ যে রায় দিয়েছিল, সেটার প্রতি একটু দৃষ্টিপাত করুন। সে রায় অনুযায়ী, সামরিক সরকারের মাধ্যমে যে কাজগুলো হয়েছিল, সেগুলো সব অবৈধ।
তিনি আরও বলেন, সামরিক সরকারের অধীনে হওয়া সবকিছুকে হাইকোর্ট অবৈধ ঘোষণা করেছেন। সেই রায়ের ৩৫৪ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বিএনপিই তো অবৈধ। সুতরাং বিএনপিকে ষোড়শ সংশোধনীর রায় নিয়ে এত লাফালাফি না করে পঞ্চম সংশোধনীর রায় পড়ে দেখে
নিজেদের ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তা করার জন্য অনুরোধ করবো।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বেগম খালেদা জিয়া কোন হোটেলে বসেন, কার সাথে মিটিং করেন, কয়টার সময় তার ছেলের বাসায় যান সমস্ত তথ্য সরকারের কাছে আছে। যখন প্রয়োজন পড়বে তখনই সেসব তথ্য প্রকাশ করা হবে।
এর আগে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে শেখ হাসিনার জন্মদিন ও সামাজিক বিভিন্ন বিষয়ের উপর আওয়ামী লীগের আগামী মাসের সিরিজ সেমিনার ও আগামী ইলেকশনে ডিজিটাল প্রচারণা নিয়ে আলোচনা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপ-কমিটির সদস্য আশরাফ সিদ্দিকী বিটু, গাউছুল আজম শাওন, মো. রাশেদুল ইসলাম রাশেল, শাহ মোস্তাফা আলমগীর, কামরুল ইসলাম, আক্তার হোসেন, কোহিনুর বেগম, তন্ময় আহমেদ, আনিছ আহমেদ, গিয়াস উদ্দীন, সুব্রত চন্দ্র চন্দ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।