
জীবনে ভালো করে নিজেকে বুঝার আগেই জীবিকার তাগিদে বিদেশে পাড়ি জমানো বাংলাদেশী তরুণদের সংখ্যাই বেশি।মধ্যপ্রাচ্যের দেশ গুলোতে কাজের ভিসা পেতে নির্দিষ্ট বয়সসীমা নির্ধারণ থাকলেও, সেই বয়সের আগেই বাংলাদেশী তরুণরা দিনার,রিয়াল আর দিরহাম অর্জনের স্বপ্নে বিভোর হয়ে ছাড়ছেন বাংলাদেশ। অবশ্য এদের মধ্যে লক্ষ্য যাদের ঠিক;তারা নিশ্চয় সফলও হতে পেরেছেন।
তেমনই কুয়েত প্রবাসী মকবুল হোসাইন, তরুণ বয়সে দেশ ছেড়েছিলেন। শত প্রতিকূলতা অতিক্রম করে এখন তিনি কুয়েতে একজন সফল তরুণ ব্যবসায়ী।
২২ বছর আগে তরুণ বয়সে কুয়েতে আসেন চাঁদপুর জেলা,ফরিদগঞ্জ উপজেলার মকবুল হোসাইন।
একসময় বাবা ছিলেন কুয়েত প্রবাসী, ফলে এদেশটিতে কাজের ভিসা খুব সহজেই পেয়ে যান মকবুল।
তরুণ মকবুল কুয়েতে কর্মজীবন শুরু করেন ১৭ দিনার (বাংলাদেশি টাকায় ৭ হাজার) পারিশ্রমিকের বেতন দিয়ে।
তখন পার্ট-টাইম জবও করতেন একটি কসমেটিকস দোকানে।
মকবুল বলেন, তিনি যে কসমেটিকস দোকানটিতে পার্ট-টাইম জব করতেন,সেই কসমেটিকস দোকান মালিক একসময় অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে সেই দোকানটির মালিককে ন্যায্য মূল্য পরিশোধ করে তিনি ওই দোনাকটি কিনে নেন।
এর পর নিজের শ্রম আর মেধাকে কাজে লাগিয়ে আরও দুটি দোকানের মালিক নিজে হওয়ার পাশাপাশি দুই ভাইকেও ব্যবসায় নিয়ে এসেছেন।
মকবুল বলেন, নতুন ব্যবসা শুরুর দিকে লাভ-লোকসানের মাঝামাঝি চলতে থাকলেও, কয়েক মাস পর ব্যবসায় ভালো লাভের মুখ দেখা সম্ভব হয়েছে।
বর্তমানে অনেক প্রবাসী বাংলাদেশীরা কুয়েতের বাংলাদেশী অধ্যুষিত জিলিব মুজাম্মাতে তরুণ ব্যবসায়ী মকবুলের দোকান থেকে পণ্য সামগ্রী কেনাকাটা করছেন বলে মকবুল জানান।

মকবুল কীভাবে একজন সফল ব্যবসায়ী হয়েছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “যদি কেউ প্রচুর পরিশ্রম করে থাকেন,শ্রম এবং মেধাকে কাজে লাগান; তাহলে অবশ্যই ব্যবসায়ী হওয়া সম্ভব” তবে এ ক্ষেত্রে লক্ষ্য ঠিক রেখে সামনের দিকে এগুতে হবে।
কুয়েতে তরুণ প্রবাসী বাংলাদেশীদের ব্যবসা করার আহ্বান জানান তরুণ ব্যবসায়ী মকবুল হোসেন।
কুয়েতের শ্রমবাজারে বাংলাদেশী তরুণরা আসছেন, বেশির ভাগ প্রবাসীরাই কম পারিশ্রমিকে কাজ করছেন।
একদিকে কাজ না জানার কারণ, অন্যদিকে যোগ্যতার অভাব এবং এদেশটিতে ভিসা ক্যাটাগরি না জেনে আসাও এর মূল কারণ বলে অনেকে মনে করছেন।
কুয়েত প্রবাসী তরুণ ব্যবসায়ী মকবুল হোসেনকে অনুসরণ করে আরও অনেক মকবুল তৈরি হবেন, সেটিই প্রত্যাশা করছেন দেশটিতে থাকা প্রবাসী বাংলাদেশীরা।