বর্তমানে বাংলাদেশের এক কোটির উপর মানুষ এখন পৃথিবীর নানা দেশে অভিবাসী হিসেবে কাজ করছেন। এবং অধিকাংশ শ্রমিক সঠিক তথ্য না জেনে বিদেশ যাচ্ছেন। একজন অভিবাসী শ্রমিক হিসেবে তাদের ন্যায্য প্রাপ্তি বা অধিকার সম্পর্কে কিছুই জানেননা বা তাদের জানানো হয়না। শ্রমিক তার চুক্তির কাগজ হাতে পায়না। এতে করে সে কি কাজ করবে বা কত টাকা আসলে পাচ্ছে এ ব্যাপারে তার ধারণা থাকেনা। তাছাড়াও শ্রম অভিবাসীদের আইনি আশ্রয় লাভের প্রতিষ্টানটি ঢাকা কেন্দ্রিক হওয়ায় প্রান্তিক শ্রম অভিবাসীদের নিকট বিষয়টি অব্যবহৃত ও অপ্রাপ্য থেকে যাচ্ছে। সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে অভিবাসী শ্রমিকদের ন্যায্য প্রাপ্তি ও অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। সোমবার (৬মার্চ) রাঙ্গুনিয়া পৌরসভা মিলনায়তনে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ইপসা-ফেয়ারার লেবার মাইগ্রেশন ইন বাংলাদেশ কর্মসূচীর উদ্যোগে গ্রিভেন্স ম্যানেজমেন্ট কমিটি গঠনকল্পে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা একথা বলেন। রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র মো. সেলিমের সভাপতিত্বে ও ইপসা ফেয়ারার লেবার মাইগ্রেশন ইন বাংলাদেশ কর্মসূচীর প্রকল্প সমন্বয়ক আবদুস সবুরের স ালনায় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ব্রিটিশ কাউন্সিল প্রকাশ এর আইবিপি ম্যানেজার তানভির মাহমুদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইপসার পরিচালক মো. মাহাবুবুর রহমান, প্রজেক্ট ম্যানেজার ও রাঙ্গুনিয়ার ফোকাল পার্সন সাংবাদিক জিগারুল ইসলাম জিগার, রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার কাউন্সিলর জালাল উদ্দিন, আসাদুজ্জামান খাঁন, নুরুল আবছার জসিম, লোকমানুল হক তালুকদার, নজরুল ইসলাম, তারেকুল ইসলাম চৌধুরী, সিরাজুল ইসলাম, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর জেসমিন আকতার, নুরজাহান বেগম, ইয়াছমিন আকতার, রাঙ্গুনিয়া প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারন সম্পাদক মাসুদ নাসির, সাংবাদিক আব্বাস হোসাইন আফতাব, মাওলানা মঈন উদ্দিন সিকদার, মাওলানা সাখাওয়াত হোসেন মিঞা, শিক্ষক নুরুল আলম, আনন্দশ্রী ভিক্ষু, নারী নেত্রী পলাশি মুৎসুদ্দি, মেনকা তালুকদার ও নিলু আকতার প্রমূখ। উল্লেখ্য শ্রম অভিবাসনের প্রক্রিয়াটি সঠিকভাবে জনগনের নিকট পৌঁছনো, অভিবাসনের সাথে জড়িত এলাকার সংশ্লিস্ট প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তি, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের মাধ্যে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি ও অভিবাসন বিষয়ক বিরোধ স্থানীয় পর্যায়ে নিস্পত্তির লক্ষে ইপসা চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া পৌরসভা ও সরফভাটা ইউনিয়নে ফেয়ারার লেবার মাইগ্রেশন ইন বাংলাদেশ কর্মসূচী বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহন করেছে। সামাজিক নেতৃত্ববৃন্দ, ধর্মীয় নেতা, শিক্ষক, ডাক্তার, সমাজকর্মী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, এনজিও কর্মকর্তা, প্রকল্প কর্মকর্তা ও গণমাধ্যমকর্মীরা সভায় অংশ নেন।