অগ্রদৃষ্টি ডেস্কঃ ২০১২ সালে লিবিয়ার বেনগাজিতে মার্কিন কনসুলেটে যখন হামলা হয় তখন নিহত হন শন স্মিথ ও টায়রন উডস।
সেসময় হিলারি ক্লিনটন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন।
সেই মৃত্যুর জন্য মিসেস ক্লিনটনকে দায়ী করে কয়েক ঘণ্টা আগে মামলা করেছেন ঐ দুই সেনার পরিবার।
তারা বলছেন হিলারি ক্লিনটন সেসময় তার ব্যক্তিগত ইমেইল ব্যাবহার করে রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য আদান প্রদান করেছেন।
স্মিথ ও উডস এর পরিবার মনে করছে অনিরাপদ ব্যক্তিগত ইমেইল বার্তা থেকে সেসময় মার্কিন কর্মকর্তাদের অবস্থান হয়ত ফাঁস হয়ে গিয়েছিলো।
দুই পরিবারের পক্ষে মামলাটি করেছে ফ্রিডম ওয়াচ গ্রুপ নামে একটি রক্ষণশীল গোষ্ঠী।
বেনগাজি কনসুলেটে ঐ হামলা সম্পর্কে হিলারি ক্লিনটন মানহানিকর মন্তব্য করেছেন বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে গত মাসেই মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই এর পরিচালক জেমস কমি ঘোষণা করেছিলেন যে মিসেস ক্লিনটনের ব্যক্তিগত ইমেইল হ্যাক হয়ে থাকতে পারে।
সেনিয়ে করা একটি তদন্ত কমিটি অবশ্য বলেছে হিলারি ক্লিনটন কূটনৈতিক নিয়ম নিতি লঙ্ঘন করেন নি।
তবে হিলারি ক্লিনটনের নির্বাচনী প্রচারণায় এই ইস্যুটি একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মার্কিন কনসুলেটে ঐ হামলা চালিয়েছিল ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠী যাতে আরো নিহত হয়েছিলেন তখনকার মার্কিন রাষ্ট্রদূত ক্রিস্টোফার স্টিভেন্স।
তার বোন এ্যান স্টিভেন্স অবশ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসে দেয়া এক সাক্ষাতকারে হিলারি ক্লিনটনের পক্ষে কথা বলেছেন।
হিলারি ক্লিনটনের নির্বাচনী ক্যাম্পেইন টিম তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।