আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মুসলিম ঐতিহ্যের দেশ সৌদি আরবের নারীদের এখন থেকে বোরকা পরা লাগবে না। বোরকা পরার বাধ্যবাধকতা থেকে তারা মুক্ত হচ্ছে। দেশটির একজন ধর্মীয় নেতা বোরকা পরার বাধ্যবাধকতা তুলে দেয়ার পক্ষে ফতোয়া দিয়েছেন। তবে সরকারিভাবে এ ব্যাপারে এখানো কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।
উল্লেখ্য, সৌদি মেয়েরা সাধারণত পা পর্যন্ত পুরো শরীর ঢেকে রাখে। তারা যে ঢিলেঢালা পোশাক পরেন, তাকে ‘আবায়া’ বলা হয়। ভারতীয় উপমহাদেশে এটা বোরকা নামে পরিচিত। দেশটিতে বোরকা পরা আইনত বাধ্যতামূলক। ২০১৬ সালে রিয়াদের রাস্তায় এক নারী বোরকা খুলে ফেলেছিল বলে পুলিশ তাকে গ্রেফতারও করেছিল।
কিন্তু সৌদির একজন প্রবীণ ধর্মীয় চিন্তাবিদ শেখ আবদুল্লাহ আল মুতলাক বলেছেন, ‘মেয়েদের বোরকা পরতেই হবে এমন কোন ব্যাপার নেই। তাদের আব্রু বজায় রেখে পোশাক পরতে হবে, কিন্তু তার মানে এই নয় যে তাদের বোরকা পরতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মুসলিম বিশ্বের ৯০ শতাংশ মহিলাই ‘আবায়া’ পরেন না। কাজেই আমাদেরও উচিৎ হবে না মেয়েদের এটা পরতে বাধ্য করা।’
তার এই মন্তব্য ঘিরে অনলাইনে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে। অনেকেই তার সমর্থনে কথা বলছেন। বিরোধিতাও করছেন অনেকে।
এদিকে সৌদি আরবে পরিবর্তনের হাওয়া বইছে। সম্প্রতি সৌদি আরবের মেয়েরা কালো রঙের বোরকার পাশাপাশি বিভিন্ন উজ্জ্বল রঙের আবায়া পরছে। লম্বা স্কার্ট বা জিন্সের সঙ্গে খোলা আবায়া পরাও বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে দেশটিতে।