সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সৈয়দ মহসীন আলী ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ও ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বাংলাদেশ সময় সোমবার সকাল সাড়ে ৮টায় সিঙ্গাপুর মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন তিনি। মৃত্যুর সময় তার বয়স ছিল ৬৬ বছর।
মন্ত্রীর ভাই সৈয়দ মোস্তাক আলী তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে তার অকাল মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
গত ৩ সেপ্টেম্বর নিউমোনিয়া, ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের সমস্যা নিয়ে রাজধানীর বারডেমে হাসপাতালে ভর্তি হন সৈয়দ মহসিন আলী।
৫ সেপ্টেম্বর অবস্থার অবনতি হলে তাকে বারডেম হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় ওইদিনই তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুর মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সিঙ্গাপুরে নেয়ার পর থেকেআইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে তার চিকিৎসা চলছিল।
গত ১০ সেপ্টেম্বর তার অবস্থার দৃশ্যমান উন্নতি হওয়া চিকিৎসকরা লাইফ সাপোর্ট খুলে দেন। এ অবস্থায় আজ সকালে তিনি ইন্তেকাল করেন।
এসময় তার সহধর্মিণী সৈয়দা সায়রা মহসিনসহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সমাজকল্যাণমন্ত্রীর মৃত্যুতে আজ সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। এছাড়া স্পিকার ড. শিরিন শারমীন চৌধুরী ও সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা রওশ এরশাদ শোক জানিয়েছেন।
২০০৮ সালে মেলভীবাজার-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
এরপর দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার পর তাকে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি এ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন।
এছাড়া সৈয়দ মহসীন আলী আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য ও জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সদস্য ছিলেন।
১৯৪৮ সালের ১২ ডিসেম্বর মৌলভীবাজারে জন্ম নেওয়া সৈয়দ মহসিন আলী রাজনীতিতে আসেন ছাত্রলীগের মাধ্যমে। তিনি কলকাতার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন।
১৯৯৮ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। মৌলভীবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তিনবার। সেক্টরস কমান্ডার ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটিরও সদস্য ছিলেন তিনি।
সৈয়দ মহসিন আলী মৌলভীবাজার চেম্বারের সভাপতির দায়িত্বও পালন করেন।