Menu |||

”যেতে চাই বহু দূর” ফারহানা মোবিন

ফারহানা মোবিনঃ  রাজধানীর বিশাল শহীদ মিনার। জাতির বিরল ইতিহাস আর সম্মানের জায়গা। কালো গাউন পরে সাবাই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের চারিপাশে ব্যস্ত ছিল ছবি তোলার জন্য। পুরো শহীদ মিনার, ঢাকা মেডিকেল কলেজ আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারিপাশটা হয়েগেছিল কালো গাউন পরিহিতদের মিলন মেলা। দিনটা ছিল ২০১২ সালের ৩১শে মার্চ। প্রায় ১৭ হাজার ¯œাতক ডিগ্রীধারীদের মিলন মেলা ছিল সেদিন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে এটি ছিল সবচেয়ে বড় সমাবর্তন। বাংলাদেশের ইতিহাসে ২০১২ সালের পূর্বে হয়ে যাওয়া সবগুলো সমাবর্তনের মধ্যে সেই ৪৬তম সমাবর্তনটি ছিলো সবচেয়ে বেশী বড় সমাবর্তন। সেই সমাবর্তনের আমিও ছিলাম একজন অংশীদার। সমাবর্তন একজন স্নাতক ডিগ্রীধারীর জীবনে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। আমার এই ভীষণ কাঙ্খিত দিনটির নিউজ করেছিলাম আমি সাথে ছিলেন আরেক সাংবাদিক (দৈনিক প্রথম আলোর পক্ষ থেকে)।
৪র্থ শ্রেণী থেকে আমার লেখালেখির শুরু। জন্মস্থান রাজশাহীর শিশু একাডেমী থেকে আমার লেখা প্রকাশিত হতে থাকে বিভিন্ন পত্র পত্রিকাতে। ৫ম শ্রেণীতে পড়াকালীন প্রথম প্রকাশিত হয় আমার লেখা একটি কবিতা। নাম ‘শেয়াল মামা’। কোন পত্রিকায় তা আর স্মরণে নেই। আর পত্রিকাটি সংরক্ষণেও রাখা হয়নি। ছোট খাটো অখ্যাত লিটিল ম্যাগাজিনগুলো দিয়ে আমার লেখার হাতে খড়ি।
আমার জন্ম এমন একটি পরিবেশে যেখানে গান শেখার হারমোনিয়াম বাসার বড়দের ভয়ে বিছানার নিচে লুকিয়ে রাখতে হতো। এমন একটি পরিবারের মেয়ে হয়ে আমার আজকের এই পথচলার জন্য অন্যতম অবদান আমার মায়ের। যে মানুষটির অক্লান্ত শ্রম আর বিসর্জনের জন্য আমি আজ বাংলাদেশের উৎকৃষ্ট মানের কর্পোরেট হাসপাতালের চিকিৎসক। চিকিৎসা জগতে আমি সবে মাত্র ‘হাটি হাটি পা পা,’ ডিগ্রীর জন্য করছি নিরলস পরিশ্রম। ৪র্থ শ্রেণী থেকে লিখতে লিখতে আজ আমার লেখা ছাপা হচ্ছে বাংলাদেশের জাতীয় সংবাদপত্রগুলোর পাশাপাশি বিদেশের বিভিন্ন পত্র পত্রিকায়। আমি প্রায় অর্ধশতাধিক সংবাদপত্রের (প্রিন্ট মিডিয়া, অনলাইন সংবাদপত্র, লিটন ম্যাগাজিন) সাথে জড়িত। আমি বিশ্বের ২৭টি দেশের সংবাদপত্রের সাথে সম্পৃক্ত। ছোট্টবেলা থেকেই আমি খুব কাজ পাগল মানুষ। স্কুল বয়স থেকেই ছোট্ট নোট বুকে নিয়মিত লিখতাম পুরো মাসের কাজ। অকারণ আড্ডাবাজি, ফাঁকিবাজি, অলসতা আমার ভালো লাগে না। আমার আব্বু ছিল ভীষণ পরিশ্রমী আর কাজ পাগল মানুষ। মানুষটি তার কাজ নিয়ে এতোই ব্যস্ত থাকতো যে, আমাদেরকে ঠিকভাবে সময় দিতে পারতোনা। মাত্রাতিরিক্ত পরিশ্রম আর অনিয়মের জন্য ১৯৯৭ সাথে মাত্র ৪৩ বছরে না ফেরার দেশে চলে যায় আমার জন্মদাতা। ভালোবাসা আর মমতার আচলে আজ অবধি নিত্য বিসর্জন দিয়ে যাচ্ছে আমার মা। যে মানুষটির স্বপ্ন আমাদেরকে নিয়ে গগনচুম্বী। শিশু বয়স থেকেই আমি নাম লেখাতাম মেধা তালিকায়। সেই সাথে আমার আম্মার প্রচন্ড ইচ্ছা আর অক্লান্ত সহযোগিতায় আমি হয়েছিলাম রাজশাহী শিশু একাডেমী, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক ঐক্যজোট, দৈনিক প্রথম আলো বন্ধু সভা সহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান আর সংগঠনের সক্রিয় কর্মী। কবিতা আবৃত্তি, ছবি আঁকা আর উপস্থপনাতে আমি ছিলাম ভীষণ তৎপর। খ্যাতি আর পুরষ্কারও আছে আমার ঝুলিতে। তবে বড় কোন পুরষ্কার এখনো পাইনি। স্থানীয় বিভিন্ন সংবাদপত্রে আসতো আমাদের সংগঠনের ছবি। আর সেই সাথে নিয়মিত ছাপা হতো আমার বিভিন্ন রকম লেখা। গল্প, ফিচার, কবিতা। আর আমার কলম আজ অবধি চলছে। আর চালিয়ে যেতে চাই কবরের পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত। রাজশাহীর সেরা স্কুল, কলেজের সেরা ব্যাচের ছাত্রী আমি। কিন্তু ভীষণ দুর্ভাগ্য। আব্বুর মৃত্যু আর ডেঙ্গু জ্বরের জন্য আমার স্থান হলোনা ঢাকা মেডিকেল কলেজে। আমার স্বপ্নের আসমান হতে মাটিতে পড়ে গেলাম আমি। প্রিয় রাজশাহীকে গুড বাই জানিয়ে ভর্তি হলাম নগরীর শিকদার মেডিকেল কলেজে। রাজশাহীর সংস্কৃতিক অঙ্গন ছেড়ে হোস্টেল জীবনে বন্দী। আমার সংস্কৃতি প্রাণ মনটা ছটফট করতো। জড়িয়ে পড়লাম দৈনিক প্রথম আলো বন্ধুসভায়। আর সেই সাথে প্রবেশ করলাম সাংবাদিকতায়। ২০০৫ থেকে নেশার মতো লিখতে শুরু করলাম দৈনিক প্রথম আলোতে। অর্জন করলাম দৈনিক প্রথম আলোর সাংবাদিকতার (প্রদায়ক/কন্ট্রিবিউটর) কার্ড। দীর্ঘ বছর যাবৎ নিয়মিত লিখেছি। আর এখন লিখছি চিকিৎসক ও লেখক হিসাবে।
প্রিয় পাঠক, প্রাপ্তির হিসাবে আমি এখনো নগন্য। নিরলস চেষ্টা করে যাচ্ছি। আপনাদের সবার ভালোবাসাই আমার পথ চলার শক্তি। সূদুর ইটালী থেকে আল আমিন ভাই অনুরোধ করলেন আমার নিজের অর্জন নিয়ে লেখার জন্য। প্রথমে রাজি হইলি। কারণ নিজেকে নিয়ে লেখবার মতো অর্জন আমার নেই। ভাইয়াকে সম্মান জানানোর জন্য, লজ্জার মাথা খেয়ে এতোক্ষণ নিজের ঢোল নিজেই পিটালাম।
শ্রদ্ধেয় পাঠক, চিকিৎসা আর লেখার জগতে আমি “হাটি হাটি পা পা” জাতির পতাকা হাতে সামনে এগিয়ে যেতে চাই। আপনাদের দোয়া আর শুভকামনা আমার সর্বোচ্চ শক্তি। সারা বিশ্বে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই, আমার জাতির সম্মান।
সৃষ্টিকর্তার দারবারে আমার মিনতি
“বিধাতা তোমার পতাকা যারে দাও, তারে বহিবারে দাও শক্তি…!!!”

ডাঃ ফারহানা মোবিন

স্কয়ার হাঁসপাতাল 
ঢাকা 
বাংলাদেশ 

 

Facebook Comments Box

সাম্প্রতিক খবর:

এক যুগ পর সেনাকুঞ্জে খালেদা, বসলেন ইউনূসের পাশের চেয়ারে
আজকের দিনটি গোটা জাতির জন্য আনন্দের: ফখরুল
তারেক মনোয়ার একজন স্পষ্ট মিথ্যাবাদী
কুয়েতে নতুন আইনে অবৈধ প্রবাসীদের কঠোর শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে
সোশ্যাল প্লাটফর্মে লন্ডনী মেয়েদের বেলেল্লাপনা,চাম্পাবাত সবার শীর্ষে
মিছিল করায় আট মাস ধরে সৌদি কারাগারে ৯৩ প্রবাসী, দুশ্চিন্তায় পরিবার
কুয়েতে যুবলীগের ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
নতুন উপদেষ্টাদের নিয়ে জনগণের পক্ষ থেকে অভিযোগ এলে খতিয়ে দেখবো’
জীবিত স্বামীকে গণ–অভ্যুত্থানে ‘মৃত’ দেখিয়ে শেখ হাসিনাসহ ১৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
ঢালাওভাবে প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন বাতিল সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার অন্তরায়: সম্পাদক পরিষদ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» এক যুগ পর সেনাকুঞ্জে খালেদা, বসলেন ইউনূসের পাশের চেয়ারে

» আজকের দিনটি গোটা জাতির জন্য আনন্দের: ফখরুল

» তারেক মনোয়ার একজন স্পষ্ট মিথ্যাবাদী

» কুয়েতে নতুন আইনে অবৈধ প্রবাসীদের কঠোর শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে

» সোশ্যাল প্লাটফর্মে লন্ডনী মেয়েদের বেলেল্লাপনা,চাম্পাবাত সবার শীর্ষে

» ফারুকীর পদত্যাগের বিষয়টি সঠিক নয়

» পাকিস্তান থেকে সেই আলোচিত জাহাজে যা যা এল

» মিছিল করায় আট মাস ধরে সৌদি কারাগারে ৯৩ প্রবাসী, দুশ্চিন্তায় পরিবার

» কুয়েতে যুবলীগের ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

» ক্ষমা না চাইলে নুরের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবে চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়

Agrodristi Media Group

Advertising,Publishing & Distribution Co.

Editor in chief & Agrodristi Media Group’s Director. AH Jubed
Legal adviser. Advocate Musharrof Hussain Setu (Supreme Court,Dhaka)
Editor in chief Health Affairs Dr. Farhana Mobin (Square Hospital, Dhaka)
Social Welfare Editor: Rukshana Islam (Runa)

Head Office

UN Commercial Complex. 1st Floor
Office No.13, Hawally. KUWAIT
Phone. 00965 65535272
Email. agrodristi@gmail.com / agrodristitv@gmail.com

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
,

”যেতে চাই বহু দূর” ফারহানা মোবিন

ফারহানা মোবিনঃ  রাজধানীর বিশাল শহীদ মিনার। জাতির বিরল ইতিহাস আর সম্মানের জায়গা। কালো গাউন পরে সাবাই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের চারিপাশে ব্যস্ত ছিল ছবি তোলার জন্য। পুরো শহীদ মিনার, ঢাকা মেডিকেল কলেজ আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারিপাশটা হয়েগেছিল কালো গাউন পরিহিতদের মিলন মেলা। দিনটা ছিল ২০১২ সালের ৩১শে মার্চ। প্রায় ১৭ হাজার ¯œাতক ডিগ্রীধারীদের মিলন মেলা ছিল সেদিন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে এটি ছিল সবচেয়ে বড় সমাবর্তন। বাংলাদেশের ইতিহাসে ২০১২ সালের পূর্বে হয়ে যাওয়া সবগুলো সমাবর্তনের মধ্যে সেই ৪৬তম সমাবর্তনটি ছিলো সবচেয়ে বেশী বড় সমাবর্তন। সেই সমাবর্তনের আমিও ছিলাম একজন অংশীদার। সমাবর্তন একজন স্নাতক ডিগ্রীধারীর জীবনে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। আমার এই ভীষণ কাঙ্খিত দিনটির নিউজ করেছিলাম আমি সাথে ছিলেন আরেক সাংবাদিক (দৈনিক প্রথম আলোর পক্ষ থেকে)।
৪র্থ শ্রেণী থেকে আমার লেখালেখির শুরু। জন্মস্থান রাজশাহীর শিশু একাডেমী থেকে আমার লেখা প্রকাশিত হতে থাকে বিভিন্ন পত্র পত্রিকাতে। ৫ম শ্রেণীতে পড়াকালীন প্রথম প্রকাশিত হয় আমার লেখা একটি কবিতা। নাম ‘শেয়াল মামা’। কোন পত্রিকায় তা আর স্মরণে নেই। আর পত্রিকাটি সংরক্ষণেও রাখা হয়নি। ছোট খাটো অখ্যাত লিটিল ম্যাগাজিনগুলো দিয়ে আমার লেখার হাতে খড়ি।
আমার জন্ম এমন একটি পরিবেশে যেখানে গান শেখার হারমোনিয়াম বাসার বড়দের ভয়ে বিছানার নিচে লুকিয়ে রাখতে হতো। এমন একটি পরিবারের মেয়ে হয়ে আমার আজকের এই পথচলার জন্য অন্যতম অবদান আমার মায়ের। যে মানুষটির অক্লান্ত শ্রম আর বিসর্জনের জন্য আমি আজ বাংলাদেশের উৎকৃষ্ট মানের কর্পোরেট হাসপাতালের চিকিৎসক। চিকিৎসা জগতে আমি সবে মাত্র ‘হাটি হাটি পা পা,’ ডিগ্রীর জন্য করছি নিরলস পরিশ্রম। ৪র্থ শ্রেণী থেকে লিখতে লিখতে আজ আমার লেখা ছাপা হচ্ছে বাংলাদেশের জাতীয় সংবাদপত্রগুলোর পাশাপাশি বিদেশের বিভিন্ন পত্র পত্রিকায়। আমি প্রায় অর্ধশতাধিক সংবাদপত্রের (প্রিন্ট মিডিয়া, অনলাইন সংবাদপত্র, লিটন ম্যাগাজিন) সাথে জড়িত। আমি বিশ্বের ২৭টি দেশের সংবাদপত্রের সাথে সম্পৃক্ত। ছোট্টবেলা থেকেই আমি খুব কাজ পাগল মানুষ। স্কুল বয়স থেকেই ছোট্ট নোট বুকে নিয়মিত লিখতাম পুরো মাসের কাজ। অকারণ আড্ডাবাজি, ফাঁকিবাজি, অলসতা আমার ভালো লাগে না। আমার আব্বু ছিল ভীষণ পরিশ্রমী আর কাজ পাগল মানুষ। মানুষটি তার কাজ নিয়ে এতোই ব্যস্ত থাকতো যে, আমাদেরকে ঠিকভাবে সময় দিতে পারতোনা। মাত্রাতিরিক্ত পরিশ্রম আর অনিয়মের জন্য ১৯৯৭ সাথে মাত্র ৪৩ বছরে না ফেরার দেশে চলে যায় আমার জন্মদাতা। ভালোবাসা আর মমতার আচলে আজ অবধি নিত্য বিসর্জন দিয়ে যাচ্ছে আমার মা। যে মানুষটির স্বপ্ন আমাদেরকে নিয়ে গগনচুম্বী। শিশু বয়স থেকেই আমি নাম লেখাতাম মেধা তালিকায়। সেই সাথে আমার আম্মার প্রচন্ড ইচ্ছা আর অক্লান্ত সহযোগিতায় আমি হয়েছিলাম রাজশাহী শিশু একাডেমী, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক ঐক্যজোট, দৈনিক প্রথম আলো বন্ধু সভা সহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান আর সংগঠনের সক্রিয় কর্মী। কবিতা আবৃত্তি, ছবি আঁকা আর উপস্থপনাতে আমি ছিলাম ভীষণ তৎপর। খ্যাতি আর পুরষ্কারও আছে আমার ঝুলিতে। তবে বড় কোন পুরষ্কার এখনো পাইনি। স্থানীয় বিভিন্ন সংবাদপত্রে আসতো আমাদের সংগঠনের ছবি। আর সেই সাথে নিয়মিত ছাপা হতো আমার বিভিন্ন রকম লেখা। গল্প, ফিচার, কবিতা। আর আমার কলম আজ অবধি চলছে। আর চালিয়ে যেতে চাই কবরের পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত। রাজশাহীর সেরা স্কুল, কলেজের সেরা ব্যাচের ছাত্রী আমি। কিন্তু ভীষণ দুর্ভাগ্য। আব্বুর মৃত্যু আর ডেঙ্গু জ্বরের জন্য আমার স্থান হলোনা ঢাকা মেডিকেল কলেজে। আমার স্বপ্নের আসমান হতে মাটিতে পড়ে গেলাম আমি। প্রিয় রাজশাহীকে গুড বাই জানিয়ে ভর্তি হলাম নগরীর শিকদার মেডিকেল কলেজে। রাজশাহীর সংস্কৃতিক অঙ্গন ছেড়ে হোস্টেল জীবনে বন্দী। আমার সংস্কৃতি প্রাণ মনটা ছটফট করতো। জড়িয়ে পড়লাম দৈনিক প্রথম আলো বন্ধুসভায়। আর সেই সাথে প্রবেশ করলাম সাংবাদিকতায়। ২০০৫ থেকে নেশার মতো লিখতে শুরু করলাম দৈনিক প্রথম আলোতে। অর্জন করলাম দৈনিক প্রথম আলোর সাংবাদিকতার (প্রদায়ক/কন্ট্রিবিউটর) কার্ড। দীর্ঘ বছর যাবৎ নিয়মিত লিখেছি। আর এখন লিখছি চিকিৎসক ও লেখক হিসাবে।
প্রিয় পাঠক, প্রাপ্তির হিসাবে আমি এখনো নগন্য। নিরলস চেষ্টা করে যাচ্ছি। আপনাদের সবার ভালোবাসাই আমার পথ চলার শক্তি। সূদুর ইটালী থেকে আল আমিন ভাই অনুরোধ করলেন আমার নিজের অর্জন নিয়ে লেখার জন্য। প্রথমে রাজি হইলি। কারণ নিজেকে নিয়ে লেখবার মতো অর্জন আমার নেই। ভাইয়াকে সম্মান জানানোর জন্য, লজ্জার মাথা খেয়ে এতোক্ষণ নিজের ঢোল নিজেই পিটালাম।
শ্রদ্ধেয় পাঠক, চিকিৎসা আর লেখার জগতে আমি “হাটি হাটি পা পা” জাতির পতাকা হাতে সামনে এগিয়ে যেতে চাই। আপনাদের দোয়া আর শুভকামনা আমার সর্বোচ্চ শক্তি। সারা বিশ্বে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই, আমার জাতির সম্মান।
সৃষ্টিকর্তার দারবারে আমার মিনতি
“বিধাতা তোমার পতাকা যারে দাও, তারে বহিবারে দাও শক্তি…!!!”

ডাঃ ফারহানা মোবিন

স্কয়ার হাঁসপাতাল 
ঢাকা 
বাংলাদেশ 

 

Facebook Comments Box

সাম্প্রতিক খবর:

এক যুগ পর সেনাকুঞ্জে খালেদা, বসলেন ইউনূসের পাশের চেয়ারে
আজকের দিনটি গোটা জাতির জন্য আনন্দের: ফখরুল
তারেক মনোয়ার একজন স্পষ্ট মিথ্যাবাদী
কুয়েতে নতুন আইনে অবৈধ প্রবাসীদের কঠোর শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে
সোশ্যাল প্লাটফর্মে লন্ডনী মেয়েদের বেলেল্লাপনা,চাম্পাবাত সবার শীর্ষে
মিছিল করায় আট মাস ধরে সৌদি কারাগারে ৯৩ প্রবাসী, দুশ্চিন্তায় পরিবার
কুয়েতে যুবলীগের ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
নতুন উপদেষ্টাদের নিয়ে জনগণের পক্ষ থেকে অভিযোগ এলে খতিয়ে দেখবো’
জীবিত স্বামীকে গণ–অভ্যুত্থানে ‘মৃত’ দেখিয়ে শেখ হাসিনাসহ ১৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
ঢালাওভাবে প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন বাতিল সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার অন্তরায়: সম্পাদক পরিষদ


এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



Exchange Rate

Exchange Rate EUR: Thu, 21 Nov.

সর্বশেষ খবর



Agrodristi Media Group

Advertising,Publishing & Distribution Co.

Editor in chief & Agrodristi Media Group’s Director. AH Jubed
Legal adviser. Advocate Musharrof Hussain Setu (Supreme Court,Dhaka)
Editor in chief Health Affairs Dr. Farhana Mobin (Square Hospital, Dhaka)
Social Welfare Editor: Rukshana Islam (Runa)

Head Office

UN Commercial Complex. 1st Floor
Office No.13, Hawally. KUWAIT
Phone. 00965 65535272
Email. agrodristi@gmail.com / agrodristitv@gmail.com

Bangladesh Office

Director. Rumi Begum
Adviser. Advocate Koyes Ahmed
Desk Editor (Dhaka) Saiyedul Islam
44, Probal Housing (4th floor), Ring Road, Mohammadpur,
Dhaka-1207. Bangladesh
Contact: +8801733966556 /+8801316861577

Email Address

agrodristi@gmail.com, agrodristitv@gmail.com

Licence No.

MC- 00158/07      MC- 00032/13

Design & Devaloped BY Popular-IT.Com
error: দুঃখিত! অনুলিপি অনুমোদিত নয়।