জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিউইয়র্কের উদ্দেশে বুধবার ঢাকা ত্যাগ করবেন।
প্রধানমন্ত্রী ১১ দিনের এই সফরে ৬০ সদস্যের বাংলাদশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন।
বিশ্ব নেতৃবৃন্দ ২৫ -২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এক সম্মেলনে অংশ নেবেন। যেখানে আগামী ১৫ বছরের জন্য টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য (এসডিজি) ঠিক করা হবে। ১৫০টি দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা এই সম্মেলনে উপস্থিতি থাকবেন। সম্মেলনের শেষ দিন বক্তব্য দেওয়ার কথা রয়েছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর। চলতি বছরেই শেষ হচ্ছে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যের (এমডিজি) মেয়াদ।
প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব মামুন-অর-রশিদ বলেন, এমডিজি পূরণে বাংলাদেশের সাফল্য বিশ্বে নানাভাবে প্রশংসিত হচ্ছে। এসডিজি প্রণয়নেও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে ‘বিশেষ গুরুত্ব’ দিয়ে দেখা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী জানিয়েছেন, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে ২৮ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কে ‘শান্তিরক্ষা’ বিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের একটি বৈঠকে অংশ নেবেন শেখ হাসিনা। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে ওই অধিবেশনের কো-চেয়ার থাকবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা এবার জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসী ও উন্নয়ন কমিটির চেয়ারম্যান হতে যাচ্ছেন বলেও জানান উপ-প্রেস সচিব মামুন-অর-রশিদ।
আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে বাংলায় ভাষণ দেয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।
এছাড়া চীনের প্রেসিডেন্টের আমন্ত্রণে ২৭ সেপ্টেম্বর লিঙ্গ সমতা ও নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে বিশ্ব নেতাদের এক বৈঠকে অংশ নেবেন তিনি।
আইএস জঙ্গিদের দমন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের আয়োজনে আরেকটি সম্মেলনে শেখ হাসিনা বক্তব্য দেয়ার কথা রয়েছে।
আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের আয়োজনে ‘এমডিজি থেকে এসডিজিতে যাওয়া: বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা ও প্রত্যাশা’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথি থাকবেন। এ বৈঠকে বিভিন্ন দেশের নেতারা অংশ নেবেন।
কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৫ সেপ্টেম্বর ‘গার্লস লিড দ্য ওয়ে’ শীর্ষক একটি ফোরামেও শেখ হাসিনা বক্তব্য দেবেন।
সফরকালে জাতিসংঘের পরিবেশ বিষয়ক সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘চ্যাম্পিয়ন্স অফ দি আর্থ’ এবং তথ্য-প্রযুক্তিতে অগ্রগতির স্বীকৃতিস্বরুপ আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ সংস্থার (আইটিইউ) পদক গ্রহন করবেন শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনার নিউইয়র্কে অবস্থানকালে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের প্রেসিডেন্ট এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকও হতে পারে বলে আশা করছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আগামী ১ অক্টোবর ঢাকার উদ্দেশে নিউইয়র্কে ছাড়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।