সন্তান যখন মায়ের দুধ পান করে তখন ভ্রমণকালে বাড়তি সতর্কতা পালনের প্রয়োজন হয়। এক্ষেত্রে কয়েকটি পরামর্শ দেওয়া হলো এ লেখায়। এক প্রতিবেদন বিষয়টি জানিয়েছে ফক্স নিউজ।
১. প্রস্তুত থাকুন
ভ্রমণে আপনার সঙ্গে যদি খুব ছোট শিশু থাকে তাহলে তার জন্য বাড়তি প্রস্তুতি নিতে হবে। প্রয়োজনের সময় তাকে কিভাবে দুধ খাওয়ানো যাবে সেজন্য আগে থেকেই পরিকল্পনা করতে হবে। শিশুকে দুধ খাওয়ানোর প্রয়োজনে উপযুক্ত পোশাক পরতে হবে।
২. বিমান যাত্রায়
বিমানে যাত্রীদের সাধারণত তরল পদার্থ বহনে বিধিনিষেধ থাকে, যার বাইরে নয় শিশুর দুধও। এক্ষেত্রে ঝামেলা এড়াতে ২০০ মিলির চেয়ে কম পরিমাণের দুধ পৃথক পৃথক বোতলে বহন করতে পারেন। তবে সমস্যা হলে নিরাপত্তারক্ষী কিংবা কর্তৃপক্ষকে আপনার শিশুর প্রয়োজনীয়তার কথা জানাতে পারেন। কিছু বিমান সংস্থাও এজন্য আলাদা ব্যবস্থা করে।
৩. সঠিক সময়ে খাওয়ানো
শিশুকে নিয়ে ভ্রমণকালে সময়মতো সঠিক পরিমাণে খাবার খাওয়ানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর এজন্য প্রয়োজনে কোনো দ্বীধা না করেই শিশুকে খাওয়াতে হবে। এক্ষেত্রে আপনার আশপাশের পরিবেশ নয় বরং শিশুর প্রয়োজনীয়তাই গুরুত্বপূর্ণ।
৪. তাড়াতাড়ি রওনা দিন
শিশুকে সঙ্গে নিয়ে ভ্রমণে একটু আগেই সব কাজ শেষ করা উচিত। নির্ধারিত সময়ের আগেই রওনা দিন যেন কোনো ঝামেলা ছাড়া ভ্রমণ করা সম্ভব হয়। তাড়াহুড়ো করে কোনো কাজ করা উচিত নয়।
৫. জিনিসপত্র সঙ্গে নিন
ভ্রমণ স্বাচ্ছন্দময় ও চাপমুক্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সঙ্গে নিন। শিশুর ফিডিং পিলো, দুধ সংরক্ষণের আধার, ইত্যাদি নিতে ভুলবেন না। সন্তান যেন ঠাণ্ডায় বা অন্য কোনো সমস্যায় আক্রান্ত না হয় সেজন্য বাড়তি কাপড়, ডায়াপার ও ব্যাগ সঙ্গে নিতে হবে। এছাড়া তার জন্য পর্যাপ্ত দুধ, খাবার, পানি, টিসু পেপার ইত্যাদি রাখতে হবে।
৬. অবকাঠামো ব্যবহার করুন
রেল স্টেশন, বিমান বন্দর, হাসপাতাল ইত্যাদি বহু স্থানেই নারীদের জন্য পৃথক বিশ্রামাগার থাকে। এসব স্থানে শিশুকে মায়ের দুধ পান করাতে পারেন। এছাড়া যে কোনো স্থানে সমস্যায় পড়লে পুলিশ, নিরাপত্তা কর্মী কিংবা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় সহায়তা চাইতে পারেন।
৭. সুস্থ থাকুন
রোগ-ব্যাধি থেকে রক্ষা পেতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ব্যস্ত স্টেশন বা এয়ারপোর্টে বহু মানুষের সংস্পর্শে রোগ-ব্যাধি ছড়ানোর আশঙ্কা থাকে। শিশু সুস্থ অবস্থায় ভ্রমণ করতে হবে, অসুস্থ হলে ভ্রমণ বাদ দিতে হবে। রোগ থেকে বাঁচতে ভ্রমণকালে শিশুর জন্য বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। এছাড়া ভ্রমণের পর শিশুর কোনো সমস্যা হলে সেজন্য দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
সূত্র, ফক্স নিউজ।