মোঃ আরিফ জাওয়াদ, দিনাজপুর:- পবিত্র ঈদ-উল-আজহা উপলক্ষে উত্তরের জেলা দিনাজপুরে শেষ মূহুর্তে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। এবার ভারত থেকে গরু কম আসায় চড়া দাম হাকিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। সেই সঙ্গে গরুর দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়ছেন ক্রেতারা।
এবার সীমান্ত ঘেষা এ জেলাটি পাঁচ শতাধিকের ও বেশী খামারে এবার গরু মোটাতাজা করণ প্রক্রিয়া করা হয়েছে।
ক্রেতারা বলছেন, অন্যান্যবারের তুলনায় এবার গরুর দাম একটু বেশী। তাই অনেক ভেবে-চিন্তে বাজেটের মধ্যে কিনতে হচ্ছে।
এ দিকে বিক্রেতারা বলছেন, গো-খাদ্য ও গো-ঔষধের দাম আগের তুলনায় অনেকে অনেক বেশী ; তাই এ বছর একটু দেশী গরুর দাম কিছুটা বেশী। তাছাড়া ভারত থেকে গরু না আসায়, দামটা এতটা বেশী বলে মনে করেছেন গরু ব্যবসায়ীরা।
গরু খামারীরা বলছেন, জেলার কুরবানীর পশুর চাহিদা মিটিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কুরবানীর পশু সরবরাহ করা হয়েছে। যদি ভারত থেকে গরু পাচার করা বন্ধ হলে, আমরা নায্য মূল্য পাব বলে দাবি করেন তারা।
হাটে নিরবিচ্ছিন্ন ব্যবসার পরিবেশ বজায় রাখতে কর্তৃপক্ষ সাদা পোশাকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি পুলিশ, র্যাব, আনসার বাহিনীর সদস্যদের নিযুক্ত করাসহ কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।
সেই সঙ্গে, কোরবানীর পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাট গুলোতে কাজ করে যাচ্ছেন মেডিকেল টিম।
জেলার বেশ কয়েকটি উপজেলাতে সারেজমিনে গিয়ে, অস্থায়ী পশুর হাট গড়ে ওঠার পাশাপাশি এ দৃশ্য পরিলক্ষিত হয়।
সংশ্লিষ্টরা মনে করেছেন, পশু সম্পদ কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন এলাকায় পশু চিকিৎসকেরা গরু খামারীদের খামারে গিয়ে চিকিৎসা সেবা ও সহযোগিতা অব্যাহত থাকলে গরু মোটাজাত করণের গো খামার আরও বৃদ্ধি পাবে ; সেই সাথে বেকার যুবকদের এ কাজে উৎসাহিত করার মধ্য দিয়ে বেকারত্ব দূর করা সম্ভব হবে।