আ হ জুবেদ ঃ কুয়েত সরকার প্রায় দুই বছর পর অবৈধ অভিবাসীদের জন্য সাধারণ ক্ষমার ঘোষণা দিয়েছে।
কুয়েত দূতাবাসের তথ্যমতে, ২০১৮ সালে প্রায় ২০ হাজার অবৈধ অভিবাসীদের মধ্যে আট হাজার বাংলাদেশী কুয়েতে সাধারণ ক্ষমার সুযোগ নিয়েছিলেন।
এবছর সাধারণ ক্ষমার সময়সীমা ও প্রক্রিয়া গত বছরের চেয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন, বৈধ হওয়ার সুযোগ একেবারেই রাখা হয়নি।
গত সাধারণ ক্ষমার সময়সীমা দুই মাসেরও বেশি সময় নির্ধারণ করা হলেও ২০২০ সালের সাধারণ ক্ষমার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সময় বেধে দেয়া হয়েছে মাত্র ৫ দিন।
কুয়েত সরকার দেশটিতে থাকা অবৈধ অভিবাসীদের জন্য ”সাধারণ ক্ষমা” ঘোষণা করেছে।
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে স্থানীয় ইংরেজি দৈনিক আরব টাইমস জানায়, পহেলা এপ্রিল থেকে ৩০শে এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ক্ষমার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রত্যেক দেশের নাগরিকদের সাধারণ ক্ষমার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে ৫ দিন সময় দেয়া হয়েছে।
১ এপ্রিল থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত (ফিলিপিনো নাগরিক)
৬ এপ্রিল থেকে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত (মিশরীয় নাগরিক)
১১ এপ্রিল থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত (বাংলাদেশী নাগরিক)
১৬ এপ্রিল থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত (ভারতীয় নাগরিক)
২১ এপ্রিল থেকে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত (শ্রীলংকান নাগরিক)
ও ২৬ এপ্রিল থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত (বিশ্বের অন্যান্য সকল দেশের নাগরিক)
অবৈধ অভিবাসী বাংলাদেশীদের ”সাধারণ ক্ষমা” এর প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে কুয়েতের বাংলাদেশ দূতাবাস সর্বাত্মক সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে কুয়েত দূতাবাসের কাউন্সেলর ও দুতালয় প্রধান মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান জানান, কুয়েত সরকারের প্রয়োজনে দেশটি অবৈধ অভিবাসী বাংলাদেশীদের জন্য ”সাধারণ ক্ষমা” এর প্রক্রিয়া সম্পন্নের তারিখ ১৬ই এপ্রিল থেকে ২০শে এপ্রিল পরিবর্তন করে ১১ই এপ্রিল থেকে ১৫ই এপ্রিল পর্যন্ত নির্ধারণ করেছে।
দূতাবাসের জ্যেষ্ঠ্য এ কর্মকর্তা জানান, ”সাধারণ ক্ষমা” এর প্রক্রিয়া সম্পন্নের প্রথম দিনে এর আওতাভুক্ত ৯০০ জন বাংলাদেশী সাধারণ ক্ষমার সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন শেষে কুয়েত সরকারের অধীনস্থ ক্যাম্পে অবস্থান করছেন।
তিনি আরো জানান, ১৪ই এপ্রিলের পরে যেকোনো দিন থেকে কুয়েত সরকার অবৈধ অভিবাসীদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো শুরু করতে পারে।
এছাড়াও কুয়েত সরকার ঘোষিত যেসব স্থানে ”সাধারণ ক্ষমা” এর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে বলা হয়েছে, সেসব স্থানে পাসপোর্ট বিহীন বাংলাদেশী নাগরিকদের সহযোগিতা করতে কুয়েত দূতাবাসের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন বলে জানায়, কুয়েতের বাংলাদেশ দূতাবাস।