বিশেষ প্রতিনিধিঃ কুয়েত আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল আহাদ হত্যাকান্ডের ঘটনায় করা মামলায় ছয়জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিয়েছে পুলিশ। পাওনা টাকা পরিশোধের কথা বলে গত বছরের ৩১ আগস্ট নগরীর জিন্দাবাজার এলাকায় ডেকে এনে তাকে খুন করা হয়। এর আগের দিন সিলেটের রেজিস্ট্রি মাঠে আওয়ামী লীগের জনসভায়ও যোগ দিয়েছিলেন তিনি। ঘটনার পর ২ সেপ্টেম্বর নিহতের স্ত্রী রাসনা বেগম বাদী হয়ে সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। এ মামলায় ওলামা লীগ নেতা সিরাজুল ইসলাম সুরুকীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। এছাড়া ফখরুল ইসলাম শান্ত ও মুরাদ হোসাইন রানাকেও গ্রেপ্তার করে।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে সম্প্রতি ছয়জনকে আসামি করে দণ্ডবিধি ৩০২/১০৯/৩৪ ধারায় আদালতে মামলার চার্জশিট (নং-১৩৫/১৯) প্রদান করে পুলিশ। আসামিরা হলেন, দক্ষিণ সুরমার সাধুর বাজারের তারা মিয়ার ছেলে ফখরুল ইসলাম শান্ত, বিয়ানীবাজারের মাথিউরা বাজারের আবদুল মালিকের ছেলে মাহমুদুর রহমান লায়েক, গোলাপগঞ্জের উত্তর রায়গড়ের কামরুল হাসানের ছেলে মুরাদ হোসাইন রানা, ফেঞ্চুগঞ্জের কটালপুরের (বর্তমানে শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতাল, স্টাফ কোয়ার্টার) ফিরোজ আহমদের ছেলে সোহেল আহমদ জালাল, বিয়ানীবাজারের চারখাই জালালনগরের ময়নুল হোসাইন চৌধুরীর ছেলে হোসেন মুরাদ চৌধুরী ও সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার সূর্যেরগাঁওয়ের আশীষ কুমার চক্রবর্তীর ছেলে অভিষেক চক্রবর্তী প্রকাশ মিথুন। তবে ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা না থাকায় সিরাজুল ইসলাম সুরুকী ও শহিদুল ইসলাম মামুনকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) অনুপ কুমার চৌধুরী জানান, ঘটনাটি নিবিড়ভাবে তদন্ত করা হয়েছে। কুয়েতপ্রবাসী মুরাদের পরিকল্পনায় পাঁচজন মিলে আবদুল আহাদকে প্রকাশ্যে হত্যা করে। তবে পরিকল্পনাকারী ঘটনার আগেই দেশ ছাড়ে। হত্যাকান্ডের পর দুই ঘাতক দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে বলেও জানান মামলার তদন্তকারী এ কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, ৩১শে আগস্ট শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১০টার দিকে জিন্দাবাজারের তাঁতিপাড়া গলির মুখে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা কুয়েত প্রবাসী সংগঠক ও কলম সৈনিক এস এম আব্দুল আহাদকে।