ইরাকে কুর্দি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন পিকেকে এবং সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেটের অবস্থানগুলোর ওপর একাধিক বিমান হামলা চালিয়েছে তুরস্ক।
২০১৩ সালের যুদ্ধবিরতির পর এই প্রথম পিকেকে-র ঘাটিতে বিমান হামলা চালালো তুরস্ক। পিকেকে বলেছে, এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি এখন অর্থহীন।
তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী আহমেত দাভুতোগলু বলেছেন, পিকেকে এবং ইসলামিক স্টেট-সংশ্লিষ্ট ৬শ লোককে গত ২৪ ঘন্টায় গ্রেফতার করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, তুরস্কের জঙ্গী বিমানগুলো সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেটের অবস্থানগুলোর ওপরও আক্রমণ চালাচ্ছে।
তুরস্ক বলেছে, গত রাতের বিমান হামলায় সিরিয়ায় আইএসের দুটি হেডকোয়ার্টার ধ্বংস হয়েছে এবং ৩৫ জন জঙ্গী নিহত হয়েছে।
এক বিবৃতিতে বলা হয়, সিরিয়ার আকাশসীমায় না ঢুকেই ওই অভিযানগুলো চালানো হয়।
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলভুত কাভুসোগলু বলেছেন, উত্তর সিরিয়ার যেসব জায়গা আই এসের হাত থেকে মুক্ত করা হবে সেগুলোতে বাস্তুচ্যুত লোকদের জন্য নিরাপদ আশ্রয়স্থল স্থাপন করা হবে।
তুরস্ক এর আগে আইএস-এর বিরুদ্ধে মার্কিন-নেতৃত্বাধীন অভিযানে জড়িত হতে অনিচ্ছুক ছিল। তুরস্ক বলেছিল, এই অভিযানে সিরিয়ার বাশার আসাদের অনুগত বাহিনীকেও লক্ষ্যবস্তু না করা হলে তাতে তারা অংশ নেবে না।
কিন্তু এখন তাদের অবস্থানে বড় পরিবর্তন এসেছে বলে মনে করা হচ্ছে ।
তুরস্কের ভেতরে গত সপ্তাহে কয়েকটি বড় আকারের আত্মঘাতী হামলায় বেশ কিছু লোক নিহত হয়, যার জন্য আইএস এবং কুর্দিদের দায়ী করা হয়।