রাউজানে গাছে গাছে ফুটেছে আমের মুকুল। চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে এই মুকুলের পাগল করা ঘ্রাণ। বাতাসে মিশে সৃষ্টি করছে মৌ মৌ গন্ধ। যে গন্ধ মানুষের মন ও প্রাণকে বিমোহিত করে। গত বছর আমের মুকুল কম থাকলেও এবার দৃষ্টি নন্দিত আমের মুকুল দেখে চোখ জুড়িয়ে যাচ্ছে। চোখে দেখে অনেক আম প্রেমীর মনে হতে পারে প্রকৃতির নিয়ম অনুসারে রাউজানে গাছে গাছে ফুটেছে আমের মকুল। ফাল্গুন মাসের আগে থেকেই আমের মুকুল ফোটা শুরু করেছে। উপজেলার আম বাগানগুলোতে ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় বাগান আমের মুকুলে ছেঁয়ে গেছে। উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ১৪ ইউনিয়নের প্রায় সবকটি আম বাগান, বসতবাড়ীর আঙিনা, পকুরপাড়ে, মসজিদ প্রাঙ্গণ আর মাদ্রাসার পাশে এমন চিত্র এখন লক্ষনীয়। উপজেলার পাহাড়, টিলা, সমতলের পরিত্যক্ত জমিতে গড়ে ওঠেছে শতাধিক আম বাগান। বিশেষ করে উপজেলার পৌর এলাকার ৯নং ওয়ার্ডের পশ্চিম রাউজান এলাকা, হলদিয়া, ডাবুয়া, কদলপুর, গহিরা দলই নগর, নোয়াজিষপুর, বিনাজুরী ইউনিয়ন এলাকায় এ মৌসুমে প্রায় ৭০ হেক্টর জমিতে আ¤্রপালী, হাড়িভাঙা, হিম সাগর, ফজলি, লেংরা প্রজাতির আম বাগানে আমের মুকুল ফুটেছে। এবার ছোট বড় ৬৮ হেক্টর জমিতে ২৯টি আম বাগানে আমের চাষাবাদ করা হয়েছে। এতে গড় ফলন ১২-১৪ মেট্রিক টন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দেশের অন্যান্য জেলায় উৎপাদিত আম এক সময় রাউজানের হাট বাজারে ব্যাপক চাহিদা থাকলেও গত কয়েক বছর ধরে রাউজানের হাটবাজারে দেশের অন্যান্য জেলা-উপজেলায় উৎপাদিত আমের চাহিদা কমে এসেছে। অন্যান্য জেলা-উপজেলা থেকে বাজারে বিক্রির জন্য আনা আমগুলোকে পাকাতে ও আমের পচন রোধে ফরমালিন ব্যবহার করার ফলে চাহিদা কমে যায়। এখানকার বাজারগুলোতে রাউজানের পাহাড়ী এলাকার উৎপাদিত আমের চাহিদ বেশি। বাগান মালিকরা জানান, প্রায় দুই সপ্তাহ আগে থেকে বাগানে মুকুল আসা শুরু করেছে। গাছ মুকুলে ছেঁয়ে গেছে। কিছু গাছে মুকুল বের হচ্ছে। তারা আরো বলেন, এবার প্রতিটি গাছে যেভাবে আগাম মুকুলের আভাস দেখা দিয়েছে তা ইতিবাচক। রাউজান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন বলেন মুকুলের যথাযত পরিচর্যা না করলে মুকুল ঝরে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। আমের মুকুল যখন ৩টি দানার মতো হয় তখন ছত্রাক নাশক স্প্রে করতে হয়। প্রকৃতিক দূর্যোগ না হলে এবার রাউজানে আমের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান তিনি।