বিক্ষোভকারীদের দমাতে পুলিশ টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা গণমিছিল কর্মসূচির মধ্যে ঢাকার উত্তরায় ১১ নম্বর সেক্টরে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে।
বিক্ষোভকারীদের দমাতে পুলিশ টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
গণমিছিল কর্মসূচির অংশ হিসেবে শুক্রবার দুপুরের পর উত্তরার মাইলস্টোন কলেজ ক্যম্পাসের কাছে জড়ো হয় শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের সমর্থকরা অবস্থান নেয় জমজম টাওয়ারের পাশে। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া থেকে সংঘর্ষ বেঁধে যায়।
পরে পুলিশ ফঁকা গুলি ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। কয়েকজন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তিরও খবর পাওয়া গেছে।
উত্তরা পশ্চিম থানার ডিউটি অফিসার এসআই মো. বায়েজীদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে বলেন, “উত্তরা ১০ ও ১১ নম্বর সেক্টর এলাকায় ঝামেলার কথা শুনেছি। তবে এ মূহুর্তে আমার কাছে বিস্তারিত তথ্য নেই। ঘটনাস্থলে আমাদের সিনিয়র অফিসাররা রয়েছেন।”
কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে সহিংসতায় দুই শতাধিক মানুষের মৃত্যুর খবর এসেছে সংবাদমাধ্যমে। কয়েকশ মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ, তাদের মধ্যে শিক্ষার্থীও আছেন। এর প্রতিবাদে প্রতিদিনই রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে ছাত্ররা।
বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে শুক্রবার মসজিদ, মন্দির, গির্জাসহ সব উপাসনালয়ে প্রার্থনা এবং জুমার নামাজ শেষে ছাত্র ও জনতার গণমিছিলের ডাক দিয়েছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল কাদের।
সেই কর্মসূচির অংশ হিসেবে দুপুরের পর ঢাকার সায়েন্স ল্যাব ও প্রেসক্লাব এলাকাতেও বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
সূত্র, বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম