আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মিরের পুলওয়ামা জেলায় সর্বাত্মক বনধ পালিত হয়েছে। গতকাল (রোববার) নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে দুই গেরিলা সদস্য নিহত হওয়ার প্রতিবাদে আজ (সোমবার) ওই বনধ পালিত হয়।
বনধের ফলে পুলওয়ামতে সমস্ত দোকানপাট, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও গণপরিবহণ ব্যবস্থা বন্ধ রয়েছে। নিরাপত্তাজনিত কারণে দক্ষিণ কাশ্মিরে শ্রীনগর-বানিহাল লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
দক্ষিণ কাশ্মিরের পুলওয়ামাতে আধাসামরিক বাহিনী সিআরপিএফের এক ট্রেনিং ক্যাম্পে আত্মঘাতী হামলা চালানোর সময় নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে দুই গেরিলা সদস্য নিহত হন। ওই ঘটনায় সিআরপিএফের পাঁচ সদস্য নিহত ও তিন জন আহত হন।
গতকালের ওই সংঘর্ষে ত্রালের বাসিন্দা ফারদিন আহমেদ খান্ডে (১৭) এবং দ্রাবগামের বাসিন্দা মনজুর আহমদ বাবা (২২) নিহত হন।
এদিকে, পুলওয়ামার হামলার ঘটনাকে ‘কাপুরুষোচিত কাজ’ বলে মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিনি আজ গণমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমরা আমাদের সাহসী জওয়ানদের জন্য গর্বিত। তাদের আত্মত্যাগ ব্যর্থ হবে না। গোটা দেশবাসী জওয়ানদের পরিবারের সঙ্গে আছে।’
পুলওয়ামাতে শনিবার দিবাগত রাত থেকে শুরু হওয়া সেনা-গেরিলা সংঘর্ষ ও তল্লাশি অভিযান আজ শেষ হয়েছে। গেরিলারা যে বাড়িতে ছিল, সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে গতকাল রাতে সেটি উড়িয়ে দেয়া হয়। আজ (সোমবার) সকালে সেনাবাহিনী নতুন করে ওই এলাকায় তল্লাশি চালায়। ৩৬ ঘণ্টা পরে আজ সোমবার দুপুরে তৃতীয় গেরিলার লাশ উদ্ধার হয়েছে।
এদিকে, আত্মঘাতী হামলায় নিহত এক গেরিলা, পুলিশ কনস্টেবলের ছেলে বলে গণমাধ্যমে খবর ছড়ানোয় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। কারণ, কাশ্মিরে ২০০৩ সালের পর থেকে এই প্রথম কোনো স্থানীয় গেরিলা আত্মঘাতী সদস্য হিসেবে শনাক্ত হয়েছে। ওই ঘটনায় নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে গভীর উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। (পার্সটুডে)