বদরুল এইচ জুসেফ,প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক: মহান মে দিবস উপলক্ষে আমি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। আমি তাদের উত্তরোত্তর সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি ও সাফল্য কামনা করি। ১৮৮৬ ইং সালের এদিনে শ্রমিকের ন্যায্য অধিকার আদায় করতে গিয়ে আমেরিকার শিকাগো শহরে ‘হে মার্কেটে’ জীবনদানকারী প্রতিবাদী শ্রমিকদের স্মৃতির প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা ।
মহান মে দিবস ঐতিহাসিকভাবে একটি তাৎপর্যপূর্ণ দিন। শ্রমজীবী মানুষের রক্তঝরা ঘামেই বিশ্ব সভ্যতার বিকাশ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির নতুন দিগন্ত উম্মোচিত হয়। শ্রমিকের ঐতিহাসিক অবদানের ফলেই বিশ্ব অর্থনীতি চাঙ্গা হয়। অথচ গভীর পরিতাপের বিষয় আজও বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে নিপীড়িত শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত। আমি শ্রমিকদের ন্যায্য দাবির প্রতি সম্মান ও শ্রমের মর্যাদা সম্পর্কে সব সময় আপোষহীন। শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায় এবং তা রক্ষায় আমি সব সময় সজাগ।আমি নিজেকে সবসময় একজন শ্রমিক হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ব ও স্বাচ্ছন্দবোধ করি। শ্রমিকদের দুটো হাতকে আমি উন্নয়নের চাবিকাঠি ভাবি। সরকারের প্রতি আমার দাবি এদেশের শ্রমজীবী ও পরিশ্রমী মানুষের কল্যাণে সরকার যুগোপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। শ্রম আইন সংস্কার ও আধুনিকীকরণ, বেতন কমিশন, গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যুনতম মজুরী নির্ধারণ, বাস্তবায়ন ও তাদের বোনাস প্রাপ্তিতে ব্যবস্থা গ্রহন এবং শ্রমিক কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন, গার্মেন্টস শ্রমিকদের সন্তানদের চিকিৎসা ও তাদের লেখা পড়ার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে সরকার যেন বাংলাদেশের শ্রমিক সমাজের ভাগ্য উন্নয়নে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ ও প্রয়োগ করে সেই দাবি রাখছি।