আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আসছে মার্চে বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তির দেশ রাশিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এরই মধ্যে দেশটির জনগণের মধ্যে গুঞ্জন উঠেছে- কে হচ্ছেন নতুন প্রেসিডেন্ট। বিশ্লেষকদের ভাষ্য, বর্তমান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যে রণকৌশল নিয়ে এগোচ্ছেন তাকে করে আবারও হয়তো তাঁর হাতেই থাকবে ক্ষমতা।
পুতিন পলিসিতে আসন্ন নির্বাচনে সরকারবিরোধী রাজনৈতিক নেতা আলেক্সেই নাভালনিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কট্টর সমালোচক নাভালনিকে নির্বাচনে রুখতে সব চেষ্টা করছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
তবে নাভালনিকে থামিয়ে দিলেও এককভাবে ক্ষমতা পাওয়ার সুযোগ থাকছে না পুতিনের। লড়াই করেই তাকে মসনদে আসতে হবে। আর নতুন মেয়াদে পুতিনের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথে এখন কণ্টক বিছাতে শুরু করেছেন দুই নারী প্রার্থী আইনা গামজাটোভা ও কেসেনিয়া সোবচাক।
যদিও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য আইনা-কেসেনিয়ার বাইরেও আরও নারী প্রতিদ্বন্দ্বী রয়েছে তবে এ দুই নারীই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আলোচনায় আছেন।
আইনা রাশিয়ার ইতিহাসে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা প্রথম মুসলিম নারী, অপরদিকে কেসেনিয়া একাধারে অভিনেত্রী, টিভি উপস্থাপক ও মডেল।
৪৬ বছর বয়সী আইনা রাশিয়ার একজন সফল সাংবাদিক এবং দেশটিতে সবচেয়ে বড় মুসলিম গণমাধ্যম সংস্থার প্রধান। বেশ কয়েকটি দাতব্য সংস্থাও পরিচালনা করে আসছেন দাগেস্তান অঞ্চলের প্রধান মুফতির স্ত্রী আইনা।
স্থানীয় সময় সোমবার তিনি কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির কাছে নিজের নিবন্ধনসংক্রান্ত সব নথি জমা দিয়েছেন। রাশিয়ান রিপাবলিক অব দাগেস্তান নামের স্থানীয় একটি গোষ্ঠী তাকে স্বতন্ত্র প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছে।
এদিকে সম্প্রতি রাশিয়ার ‘প্যারিস হিলটন’ হিসেবে পরিচিত ৩৫ বছর বয়সী কেসেনিক সোবচাক রুশ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণা দিয়ে আলোচনার কেন্দ্রে আসেন।
মূলত, ২০১২ সালের পুতিনবিরোধী বিক্ষোভে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে রাশিয়ার রাজনীতির মাঠে জনপ্রিয়তা পান সেন্ট পিটার্সবার্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাজনীতি ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে পড়াশোনা করা কেসেনিয়া।
সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরের ১৮ মার্চ রাশিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে।
খবর বিবিসি, আল-জাজিরা’র