আন্তর্জাতিক ডেস্ক:: তুরস্কের সেনারা চরমপন্থি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রশিক্ষণের জন্য ইরাকে গেছে।এ তথ্য জানিয়েছেন শুক্রবার তুর্কি নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তারা। তবে তুরস্কের এ অভিযানের প্রতিবাদ জানিয়েছে ইরাক। দেশটি একই সঙ্গে ফিরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেতুর্কি সেনাদের।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে তুরস্কের এক কর্মকর্তাবলেন, সেনারা নিয়মিত প্রশিক্ষণ মহড়ার জন্য ইরাকের মসুল বাশিকা এলাকায় গেছে। এক ব্যাটালিয়ন সেনা ওই এলাকায় প্রবেশ করেছে। তবে ঠিক কত সেনা ওই এলাকায় মোতায়েন করা হবে, সে ব্যাপারে কিছু জানাননি ওই কর্মকর্তা। প্রসঙ্গত, আইএস ২০১৪ সালের ইরাকের মসুল দখল করে জুন মাসে। সেই থেকে আইএসের দখলেই রয়েছে প্রায় ১০ লাখ বাসিন্দার এই শহরটি ।
এই সেনা মোতায়েনের খবর জানানো হয়েছে তুরস্কের সংবাদমাধ্যমে। ট্যাঙ্ক এবং সাঁজোয়া যাত্রার ভিডিও প্রকাশ করেছে সরকার সমর্থিত সংবাদমাধ্যম ইয়েনি সাফাক তাদের অনলাইনে।এতে বলা হয়, এসব যান বাশিকায় যাওয়া তুর্কি সেনাদের জন্য প্রেরণ করা হচ্ছে। এদিকে ইরাকের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে মসুল এলাকার কাছে কামান ও ট্যাঙ্কসহ এক ব্যাটালিয়ন তুর্কি সেনার প্রবেশের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে এতে দাবি করা হয়, বাগদাদের অনুমতি ছাড়াই ইরাক সীমান্তে প্রবেশ করেছে তুর্কি সেনারা। বিবৃতিতে আহ্বান জানানো হয়েছে তুর্কি সেনাদের দ্রুত ইরাক ছাড়ার।
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পৃথক বিবৃতি প্রচার করা হয়েছে ইরাকি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে । এতে ‘অনুপ্রবেশ’ হিসেবে মন্তব্য করা হয়েছে তুর্কি সেনাদের প্রবেশকে।ওই বিবৃতিতে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে সমন্বয় ছাড়া যেকোনো ধরনের সামরিক অভিযান প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দেওয়া হয়। অপরদিকে শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তুরস্কের এক ব্যাটালিয়ন সেনা ইরাকে প্রবেশ করেছে। তবে এই সেনা মোতায়েন আইএসবিরোধী জোটশক্তির প্রচেষ্টার অংশ নয়, এটি তুরস্ক ও ইরাকের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় ব্যবস্থার অংশ।