বিকাল থেকেই সদরঘাটে যাত্রীর চাপ বাড়তে দেখা যায়; আর সন্ধ্যায় চাঁদপুর ও বরিশালসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলে নদীপথের যাতায়াত করা যায় এমন বেশ কয়েকটি জেলার যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়।
তবে যাত্রীর এই ভিড়ও ততটা নয় বলে মনে করছে লঞ্চ মালিক পক্ষ। শুক্রবার থেকে যাত্রীর চাপ আরও বাড়বে বলে আশা করছেন তারা।
এদিকে সদরঘাট পর্যন্ত যাত্রীদের নির্বিঘ্নে পৌঁছানোর জন্য সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে বিকালে ঘাট পরিদর্শনে এসে জানান পুলিশের মহা পরিদর্শক (আইজিপি) একেএম শহীদুল হক।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “যা যা নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়ার, তা আমরা নিয়েছি। আশা করছি কোনো ধরনের ঝামেলা হবে না।”
যাত্রী নিরাপত্তা নিশ্চিতে সদরঘাটে ৩০০ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান কোতয়ালি থানার ওসি আবুল হাসান।
“ফুলবাড়িয়া থেকে যাত্রীদের আসতে যাতে কোনো ধরনের অসুবিধা না হয়। কোনো ধরনের হয়রানি যাতে না পোহাতে হয়, সে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
এছাড়া সদরঘাটে পৌঁছাতে যাত্রীদের যেন যানজটের মুখোমুখি হতে না হয় সেজন্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে কোনো ধরনের যানবাহন ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
এই ব্যবস্থার সুফল হিসেবেই হয়ত সদরঘাটে পৌঁছাতে বরিশালের যাত্রী ফোরকান আলীকে পথে কোনো অসুবিধায় পড়তে হয়নি।
ফোরকান বলেন, “সদরঘাটে আসতে পথে কোনো অসুবিধায় পড়িনি।”
আরও বেশ কয়েকজন যাত্রী পথে কোনো সমস্যা হয়নি বললেও প্রচণ্ড গরমের সমস্যার কথা জানান যাত্রীরা।
সদরঘাটের ১৪টি জায়গায় ৩২টি সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে বলে জানান বিআইডব্লিউটিসি’র যুগ্ম পরিচালক মো. জয়নাল আবেদীন।
তিনি বলেন, কোনো লঞ্চ যাতে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করতে না পরে সেজন্য দুইজন ম্যাজিস্টেট সর্বদা তদারকিতে রয়েছে।
ঈদের প্রতিদিন সদরঘাট দিয়ে প্রায় দুই লাখ যাত্রী যাতায়াত করে জানিয়ে বিআইডব্লিউটিসি’র এই কর্মকর্তা বলেন, “দেড়শত লঞ্চ সে যাত্রীর চাপ নিতে পারছে।”
বৃহস্পতিবার রাত ৯টা পর্যন্ত সদরঘাট থেকে ৮০টি লঞ্চ দেশের বিভিন্ন স্থানের উদ্দেশে ছেড়ে গিয়েছে জানিয়ে আরও ১৫টি লঞ্চ ছেড়ে যাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানান জয়নাল আবেদীন।
তিনি বলেন, “সকালে যাত্রী স্বাভাবিক থাকলেও বিকাল থেকে যাত্রীর চাপ বাড়তে থাকে, রাতে পন্টুনে অনেক যাত্রী ছিল।”
তবে লঞ্চ মালিক সমিতির উপদেষ্টা গোলাম কিবরিয়া টিপু বলেন, “আজ (বৃহস্পতিবার) তেমন যাত্রী হয়নি। আশা করছি শুক্রবার থেকে যাত্রীর চাপ বাড়বে।”
এদিকে সদরঘাট থেকে বিআইডব্লিউটিসিও বিশেষ স্টিমার সার্ভিস চালু করেছেন।
বিআইডব্লিউটিসির সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. এনায়েত উল্লাহ বলেন, বৃহস্পতিবার সদরঘাট থেকে তাদের দুটি স্টিমার বরিশাল ও মোড়লগঞ্জের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
শুক্র ও শনিবারও দুটি করে স্টিমার ছেড়ে যাবে। তবে রোব ও সোমবার একটি স্টিমার ছাড়া হবে সদরঘাট থেকে।
ঈদের পর মোড়লগঞ্জ ও বরিশাল থেকে দুটি স্টিমার ছাড়া হবে জানিয়ে এনায়েত জানান, ঈদের পর কর্মস্থলে ফেরায় ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঈদ