আ,হ,জুবেদঃ অর্থসঙ্কটের কারণে বিদেশে মারা যাওয়া বাংলাদেশীদের লাশ দেশে পাঠাতে পারছে না বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী বাংলাদেশ কমিউনিটি। মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কমিউনিটি নেতারাই চাঁদা তুলে বাংলাদেশীদের লাশ দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করছেন। অথচ এসব প্রবাসী বিদেশে পাড়ি জমানোর আগে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কল্যাণ তহবিলে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জমা দিয়েছেন।
বর্তমানে কুয়েত প্রবাসীদের দুর্ভোগের শেষ নেই। দিন যতই যাচ্ছে সমস্যা ততই বাড়ছে। মাসের পর মাস বছরের পর বছর শরীরের ঘাম ঝরিয়ে দেশে রেমিটেন্স পাঠিয়ে সরকারের অর্থ ভাণ্ডারকে শক্তিশালী করতে প্রতিনিয়ত যে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে প্রবাসীরা। অথচ একটি লাশ পাঠাতে দেশে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় সেই প্রবাসীদের।
প্রবাসীদের অভিযোগ, বাবা-মা এবং পরিবার-পরিজন ছাড়া দূর প্রবাসের কর্ষ্টাজিত অর্থ দেশে প্রেরণ করেও জীবিত অবস্থায় কোন সরকারি সুযোগ তো নেই। মৃত্যুর পরে লাশ নিয়ে পড়তে হয় চরম দুর্ভোগে। দেশে পাঠানোর জন্য টাকা যোগাড় করতে লাশ রাখতে হয় হিমাগারে।
এদিকে কুয়েতে গত ২৯জুলাই ২০১৬ইং হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারালেন কুয়েত প্রবাসী নুরুল ইসলাম ওরফে নানু মিয়া।
নানু মিয়ার আকস্মিক মৃত্যুর পর আজ প্রায় ১২দিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও আজ অবধি এই মৃতদেহটি দেশে পাঠাতে সংশ্লিষ্ট কারোরই খুবেকটা তৎপরতা দেখা যাচ্ছেনা
ফলে এমতাবস্থায় বাংলাদেশী কমিউনিটির বহু সংখ্যক নেতৃবৃন্দরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারালেন কুয়েত প্রবাসী নুরুল ইসলাম ওরফে নানু মিয়া