জাকির সিকদার,সাভার থেকে: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নাম ভাঙ্গিয়ে সাভারে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে অভিযান পরিচালনার নামে চাঁদাবাজী করতে গিয়ে একটি মাইক্রেবাসসহ প্রতারক চক্রের ২ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার দুপুরে সাভার মডেল থানা পুলিশ গেন্ডা বাসস্ট্যান্ডস্থ আরিফ জেনারেল হাসপাতাল থেকে ওই চক্রের মূল নায়ক আবুল কালাম আজাদকে গ্রেফতার করলেও অন্যান্য সদস্যরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। এ ঘটনায় একটি ক্লিনিকের মালিক বাদী হয়ে সাভার মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মা ও শিশু উন্নয়ন সংস্থা ‘মাশিউস্স’ নামের একটি সংস্থার পরিচালক আবুল কালাম আজাদ, মোঃ হাফিজুর রহমান, মো: মোস্তফা কামাল, শিহাব, রত্না আক্তারসহ
একদল প্রতারকচক্র সাভার মডেল থানা থেকে পুলিশ নিয়ে এসে কয়েকটি বেসরকারী হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় থানা রোডে অবস্থিত সেবা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান পরিচালনা করতে গেলে ক্লিনিক কর্র্তৃপক্ষ তাদের পরিচয় জানতে চায়। এ সময় তাদের মধ্যে একজন ম্যাজিস্ট্রেট, একজন টিভি চ্যানেলের সাংবাদিক অন্যান্যরা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা পরিচয় দেয়। তারা ওই ক্লিনিকের অপারেশন থিয়েটার, প্যাথলজিসহ ক্লিনিক পরিদর্শন করে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে ক্লিনিক বন্ধে ভয়ভীতি দেখিয়ে ৫০ হাজার টাকা দাবী করে। পরে ওই ক্লিনিকের ম্যানেজার সুদিপ্ত কুমার ২০ হাজার টাকা দিলে তারা পার্শ্ববর্তী গেন্ডা বাসস্ট্যান্ডস্থ আরিফ জেনারেল হাসপাতালে যায়। সেখানেও একই ভাবে অভিযান পরিচালনা করে নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে ২০ হাজার টাকা দাবী করে। বিষয়টি হাসপাতাল মালিকদের মধ্যে জানাজানি হলে তারা ঘটনাটি সাভার থানায় অবহিত করে। পরে পুলিশ প্রাইভেট হাসপাতল মালিকদের সংগঠনের নেতাকর্মীরা সেখানে গিয়ে তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করলে প্রতারকচক্রের সদস্যরা পালিয়ে গেলেও মূল নায়ক আবুল কালাম আজাদকে পুলিশ আটক করে। এসময় প্রতারকচক্রের ব্যবহৃত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদিত স্টিকার লাগানো একটি মাইক্রেবাস (ঢাকা-মেট্রো-গ-১৪-৫৬৬১)সহ চালক ইসমাইল হোসেনকেও পুলিশ আটক করে। এ ঘটনায় সেবা ক্লিনিকের মালিক আব্দুস সালাম বাদী হয়ে আবুল কালাম আজাদ, মোঃ হাফিজুর রহমান, মোঃ মোস্তফা কামাল, শিহাব, রতœা আক্তারকে আসামী করে সাভার মডেল থানায় একটি চাঁদাবাজীর মামলা দায়ের করে।
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম কামরুজ্জামান অগ্রদৃষ্টিকে জানান, দীর্ঘদিন ধরে এ ধরনের প্রতারকচক্র স্বরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের চিঠি এনে পুলিশের সহযোগিতা চায়। পরবর্তীতে এ চক্রটি হাসপাতালসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের নামে চাঁদাবাজীতে লিপ্ত হয়। গ্রেফতারকৃত আবুল কালাম আজাদ পুলিশের কাছে চাঁদাবাজীর কথা স্বীকার করেছে।